উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া অবিলম্বে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ, স্নাতকোত্তরের ক্লাস শুরু, হল ও ক্যাফেটরিয়া চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা দুই বছর ধরে আটকে থাকা স্নাতকোত্তর শ্রেণির ক্লাস চালুর দাবিতে বিভাগের কলাপসিবল গেটে তালা লাগিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। ফলে ওই বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তারা তাঁদের দপ্তরে ঢুকতে পারেননি।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রগতিশীল শিক্ষকসমাজ’ নামে শিক্ষকদের সংগঠন ও ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’দের ব্যানারে কয়েক শ শিক্ষার্থী উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন। তাঁরা গত ১৮ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাসহ শিক্ষকদের হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদ জানান। উদ্ভূত এই সমস্যাগুলোর জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবীকে দায়ী করে তাঁর অপসারণ ও অবিলম্বে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অরাজনৈতিক সংগঠন ‘সমন্বিত অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করে।
গত ১৯ জানুয়ারি উপাচার্যের অপসারণ আন্দোলনে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন কর্মকর্তাকে ছাত্রলীগের কর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধনে কয়েক শ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশ নেন। তাঁরা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া ও উপাচার্যকে অব্যাহতি দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রগতিশীল শিক্ষকসমাজ’ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র বর্মণ এনটিভিকে বলেন, ‘ভিসি তাঁর সমর্থিত কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে একটি গ্রুপিং সৃষ্টি করছেন। যারা নির্বাচন কমিশনসহ শিক্ষকদের ফোনে হুমকি দিয়েছিল তারা সে সময় ভিসির বাসায় অবস্থান করছিল।’
উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি যা করছি সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবেই করছি। আমি চাইলে নির্বাচন বন্ধ করে দিতে পারতাম। যেহেতু নির্বাচন হয়েছে তাই ধরে নিতে হবে ভিসি নির্বাচনের পক্ষে ছিল। আমি কাউকে হুমকি দেই না। অ্যাকশন করি। অর্থাৎ কাজ করি। শুধু কথার কথা বলি না।’
গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুরু করা উপাচার্য অপসারণের আন্দোলনসহ আরো কিছু দাবিতে কয়েক মাস থেকেই উত্তাল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।