জাফর ইকবালসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষক পদত্যাগ করছেন কাল
শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণের প্রতিবাদে এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমিনুল হক ভূঁইয়ার পদত্যাগের দাবিতে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন অর্ধশতাধিক শিক্ষক। আগামীকাল সোমবার তাঁরা প্রশাসনিক পদ ত্যাগ করবেন।
গত বৃহস্পতিবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদের শিক্ষকদের বেঁধে দেওয়া আলটিমেটাম অনুযায়ী আজ রোববার বিকেল ৫টার মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করায় শিক্ষকরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
পদত্যাগ করতে যাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সেন্টার ফর এক্সিলেন্সর অধ্যাপক ইউনুস, কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্সের অধ্যাপক আউয়াল বিশ্বাস, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক, পরিবহন প্রশাসক, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্টসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষক।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক সৈয়দ সামসুল আলম ও যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মস্তাবুর রহমান জানিয়েছেন, আগামীকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভিসির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকরা একযোগে গণপদত্যাগ করবেন এবং পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এক্সিলেন্সর অধ্যাপক ইউনুস এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শিক্ষক পরিষদের এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণের প্রতিবাদে কাল আমরা সবাই পদত্যাগ করছি।’
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এমদাদুল হক এবং ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম দিপু বলেন, ‘ভিসি পদত্যাগ না করায় সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা পদত্যাগ করতে যাচ্ছি।’
শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে গত সপ্তাহে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভূঁইয়াকে আগামী রোববারের মধ্যে পদত্যাগ করার জন্য আলটিমেটাম দিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার রাতে এ আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
এর আগে গত রোববার সকালে একাডেমিক ভবন ‘এ’-তে এসে ফলিত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জহির বিন আলম দুই বিভাগের শিক্ষকদের অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপাচার্যের কাছে অভিযোগ করলে তিনি জহির বিন আলমকে সমর্থন করেন। পরে ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামেন।
‘গালাগালের’ ঘটনার প্রতিবাদে গত সপ্তাহেই বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক শরীফ মো. শরাফ উদ্দীন।