রাবির মতিহার হলে ফাটল, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
পরপর দুদিন দেশব্যাপী ভূমিকম্পের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মতিহার হলের কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার এবং প্রকৌশলীদের দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে, হলে ফাটলের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মতিহার হলের পাঁচটি পিলার এবং ১০৩ ও ১১০ নম্বর রুমের দেয়াল ও ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটল দেখার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মতিহার হলের সামনে মানববন্ধন করেছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে আবাসিক শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে তিন দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো, অতিদ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ মতিহার হলের ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করতে হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হলের শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে, ভবন নির্মাণে জড়িত ঠিকাদার ও প্রকোশলী, যাঁরা দুর্নীতি করেছে, তাঁদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
মানববন্ধনে মতিহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শামীম রেজার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা, হলের আবসিক শিক্ষার্থী শামীম হোসেন, বোরহান উদ্দিন বাপ্পী প্রমুখ। এতে হলের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, হলে ফাটলের ঘটনায় ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ইউনুস আহমদ খানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দুই বছর পর ১৯৫৫ সালে মতিহার হল নির্মিত হয়। ২০০৮ সালে এটি পুনর্নির্মাণের জন্য এক কোটি ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘ পাঁচ বছরেও হলটির নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি।