সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল রাখার দাবি রাবি শিক্ষকদের
প্রস্তাবিত অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল পুনর্নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষকরা সিনিয়র অধ্যাপকদের বেতন স্কেল সিনিয়র সচিব এবং অধ্যাপকদের বেতন স্কেল পদায়িত সচিবদের সমান করে পুনঃনির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল অব্যাহত রাখার দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ দাবি জানায়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহা. রেজাউল করিম, যুগ্ম সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মো. শাতিল সিরাজ, কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক ফিরোজ আলম, অধ্যাপক আনসার আলী প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহা. রেজাউল করিম দাবি করেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক এবং প্রভাষকদের বেতন কাঠামো অধ্যাপকদের বেতনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে। প্রত্যেক ধাপে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত অন্যান্য যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্যও তা নিশ্চিত করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রেজাউল করিম আরো বলেন, ‘প্রস্তাবিত জাতীয় পে-স্কেলে মন্ত্রিপরিষদ বা মুখ্য সচিব ও সিনিয়র সচিবদের বেতন স্কেল আলাদা করে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। পদায়িত সচিবদের জন্য নতুন একটি বেতন স্কেল করা হয়েছে। গ্রেড ১০-২০ পর্যন্ত সপ্তম বেতন কাঠামোর তুলনায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। কিন্তু ১ম-৯ম ধাপ দ্বিগুণ করা হয়নি। সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল না দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের বেতন স্কেল সচিবদের থেকে দুইধাপ নামানো হয়েছে। এভাবে প্রস্তাবিত বেতন স্কেলটি শিক্ষকদের জন্য বৈষম্যমূলক হয়েছে।’
এ সময় উপস্থিত অন্য বক্তারা বলেন, শিক্ষকদের জন্য আলাদা পে-স্কেল করা হবে বলা হলেও আজো করা হয়নি। বাধ্য হয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স করাতে হয়। এখন পে-স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মূল বেতন সপ্তম বেতন কাঠামো থেকেও এক ধাপ কমিয়ে আনা হয়েছে। যা আমাদের জন্য অবমাননাকর। তাই এই বেতন কাঠামো বাতিলের সুপারিশ করছি। আমাদের এই দাবি মেনে না নেওয়া হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।