তরুণ উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালনার ৫ কৌশল
তরুণরা দেশের ভবিষ্যৎ। বর্তমানে তরুণরা ব্যবসার দিকে ছুটছে। তারা ব্যবসায়ের মনোবল নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তবে অনেকে ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে এক ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছেন। এর পিছনে মানসিক স্বাস্থ্য দায়ী থাকে। উদ্যোক্তা হিসেবে স্বাধীনতা, অর্থ এবং ক্ষমতা থাকে। তবে এটি আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু কেড়েও নেবে। তাই নিজেকে প্রস্তুত করে তবেই ব্যবসা করতে নেমে পড়ুন।
আকাশ গেহানি, ইন্সটামোজোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিওও, এইচটি লাইফস্টাইলের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে,পাঁচটি কৌশল সুপারিশ করেছেন। যা একজন তরুন ব্যবসায়ীকে মানসিক ভাবে প্রভাবিত করবে।
অনলাইন কাউন্সেলিংয়ে যোগ দেওয়া
ব্যবসা পরিচালনাকারী উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মচারীদের একটি সাহসী মুখ দেখাতে হবে। তাদের মনকে স্বাচ্ছন্দ্যে রাখার জন্য, আপনাকেও স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে হবে। আপনি যদি ক্লান্ত, হতাশ, রাগান্বিত এবং ভীত বোধ করেন, তবে অনলাইনে পেশাদার সহায়তা নিন। পেশাদার মনোবিজ্ঞানীর সাথে কথা বলুন। আপনার লক্ষণগুলো সম্পর্কে তাকে জানান।
গান শোনা
এটি হয়ত অপ্রাসঙ্গিক লাগতে পারে। কিন্তু এটি আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। প্রিয় গানগুলোর একটি প্লেলিস্ট তৈরি করুন। এগুলো আপনার মন শান্ত রাখবে। আপনি মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজে এগিয়ে যেতে পারবেন।
ছুটি নিন
মন ও আত্মাকে শক্তিশালী করার জন্য ছুটি নিন। কোথাও বেড়াতে যাওয়া সম্ভব না হলে, বাড়িতে থাকুন। এমন জিনিসগুলো করুন যা আপনাকে খুশি করে। একঘেয়েমি কাটিয়ে ওঠুন। এতে আপনার মন কাজ করার শক্তি ফিরে পাবে।
সহানুভূতি সম্পর্কে বোঝা
অফিসে ঢুকেই রোবটের মত আচরণ করবেন না। সহকর্মীরা ঠিক আছে কিনা তা জিজ্ঞাসা করুন। তাদের খাটিয়ে যাবেন না। তাদের নানা ভাবে উৎসাহিত করুন। এতে আপনি কাজের ফলাফল ভাল পাবেন। আপনার সহকর্মীরাও আপনাকে সম্মান করবে।
সময় ব্যবস্থাপনা
জীবনে কিছু কাঠামো এবং শৃঙ্খলা প্রয়োগ করতে হবে। সব কাজ একবারে করতে যাবেন না। সময় বের করে কাজ সেরে নিন। ব্যবসায়ি নেতা হিসেবে একশোটি কাজ করাও লাগতে পারে। তাই বলে ভেঙ্গে পড়বেন না। প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা করে সময় নির্ধারণ করুন। সে অনুযায়ী এগিয়ে যান।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস