কুমিল্লায় স্কুল শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি দিচ্ছে বিএসএ
মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি দিয়ে আসছে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন (বিএসএ)। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আগ্রহ বাড়াতে নিজেদের উদ্যোগে এই বৃত্তি চালু রেখেছে সংগঠনটি। এবারও বৃত্তি দিতে আয়োজন করে পরীক্ষার। গত বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়।
‘শিক্ষাই শক্তি, শিক্ষাই মুক্তি’ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৩ সাল থেকে পথচলা শুরু করে বিএসএ। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের হাত ধরে শুরু হয় এর কার্যক্রম। পরে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরসহ উপজেলার সাবেক শিক্ষার্থীরা জড়ান এতে।
প্রতিষ্ঠার পর ২০২১ সাল থেকে মেধাবৃত্তি দেওয়া শুরু করে সংগঠনটি। এবার বিএসএ তৃতীয় মেধাবৃত্তি পরীক্ষা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হলো। সংগঠনটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মেধাক্রমের ভিত্তিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি ক্লাসের তিনজন শিক্ষার্থীদের নগদ অর্থ প্রদান করে থাকে। সংগঠনের সদস্যদের থেকে চাঁদার মাধ্যমে এ অর্থ সংগ্রহ করা হয়।
বিএসএর প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম খান বলেন, বিএসএর মেধাবৃত্তি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় আগ্রহ বাড়িয়েছে। তারা এ মেধাবৃত্তি পাওয়ার জন্য পড়ালেখা নিয়ে প্রতিযোগিতা করে। এ সংগঠনের শিক্ষার্থীরা আমাকে তাদের সঙ্গে রেখেছে। এমন একটি কাজের অংশীদার হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। বর্তমানে তারা মোট ১০০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ভাগে বৃত্তি দিয়ে থাকে। ভবিষ্যতে এ সংগঠনটি আরও ভালো কিছু করবে বলেও আশা করেন তিনি।
শিদলাই আশরাফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, বিএসএ এর সব কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে অনেক সহায়ক। এমন সব সৃজনশীল উদ্যোগে মুখরিত থাকে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এই উদ্যোগ তরুণ প্রজন্মের দেশের প্রতি দায়িত্বশীলতার প্রতীক উল্লেখ করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহের বলেন, এই সংগঠনের সব কাজে আমাকেও যুক্ত করলে আমি নিজেকে ধন্য মনে করব।
সংগঠনটির বর্তমান প্রধান নির্বাহী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জামান সরকার জানান, উপজেলার অনার্স-মাস্টার্সের বর্তমান এবং সাবেক শিক্ষার্থীরা মিলে এ সংগঠনটি শুরু করে। বর্তমানে পুরো উপজেলা থেকে পরীক্ষার মাধ্যমে ১০০ জনকে মেধাবৃত্তি দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে এর পরিধি আরও বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।
এলাকাবাসী জানায়, যারা এ সংগঠনটি শুরু করে তারা নিজেরাও শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থী হয়ে তারা শিক্ষার্থীদেরকেই বৃত্তি দিচ্ছে। এটি ভবিষ্যত প্রজন্মকে শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তুলবে। এ ধরনের কাজ সারা দেশে শুরু হোক এমটাই প্রত্যাশা করেন তারা।