বাংলা ব্লকেডের প্রভাব মেট্রোরেলে, টিকিটের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা
কোটাবিরোধীদের আন্দোলনে রাজধানীর শাহবাগ অভিমুখের সড়কে নেই কোনো যান। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখোরা। ফলে বিকল্প হিসেবে মেট্রোরেলকে বেছে নিচ্ছেন তারা। এতে টিকিট কাটার লাইনে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এমনকি, র্যাপিড পাস ও এমআরটি কার্ডের যাত্রীরাও প্রবেশপথে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষায় রয়েছেন।
আজ সোমবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এমন চিত্র দেখা যায় কারওয়ান বাজার, শাহবাগ টিএসসিসহ বিভিন্ন মেট্রোরেল স্টেশনে। সেখানে দেখা গেছে, মেট্রোরেল স্টেশনের প্রবেশমুখ পর্যন্ত ঠেকেছে টিকিট কাটার লাইন। আর র্যাপিড ও এমআরটি কার্ডের যাত্রীদের সারি পৌঁছেছে দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত।
সবুজ নামের এক যাত্রী দাঁড়িয়ে আছেন টিকিট কাটবে বলে। তার সামনে আরও সাতজন দাঁড়িয়ে আছেন। সবুজের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এখন ৬টা ২০ মিনিট। আমি ৪৫ মিনিট আগে লাইনে দাঁড়িয়েছি। যাব মিরপুর। বাস যাচ্ছে না। এদিকে, ট্রেনেও প্রচুর ভিড়।’
একই কথা জানান কল্পনা আক্তার, আকাশ ভূঁয়াসহ অনেকে। ‘ভিড় ঠেলে, অপেক্ষা করে হলেও যেতে চাই’ বললেন তারা। কারণ, সড়কে কোনো যান পাননি।
২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে ১ জুলাই থেকে টানা আন্দোলনে আছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। যদিও গতকাল থেকে তারা এক দফায় নেমে আসেন। শনিবার ঘোষণায় এই আন্দোলনের নাম দেন ‘বাংলা ব্লকেড’। একইসঙ্গে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচিও পালন করছেন তারা।
গতকাল রোববার স্থবির হয়ে পড়ে রাজধানী ঢাকা। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজও শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে ৬৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন কোটাবিরোধীরা।