সাঁজোয়া যান ঘিরে রেখেছেন কোটাবিরোধীরা
কোটাবিরোধীদের বাংলা ব্লকেডের আগেই রাজধানীর শাহবাগে সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ। সেখানে সাঁজোয়া যানের পাশাপাশি আনা হয়েছিল জলকামান। তবে, সাড়ে ৫টার দিকে ব্যারিকেড ভেঙে কোটাবিরোধীরা সামনে এগোতে থাকলে পিছু হটে এসব যান। এখন সেই যান দখলে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।
কোটা বাতিলের দাবিতে গত ১ জুলাই আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এরপর গত ৭ জুলাই থেকে 'বাংলা ব্লকেড' নামে এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। যদিও গতকাল বুধবার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করে আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তবে, শিক্ষার্থীরা আপিল বিভাগের এই আদেশ প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘কোটা নিয়ে যারা আন্দোলন করছেন, তাদেরকে পরামর্শ দিন, তারা কেন নির্বাহী বিভাগের কথা বলে? নির্বাহী বিভাগের যেকোনো সিদ্ধান্ত তো আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কোটা আন্দোলনকারীদের জন্য আদালতের দরজা সবসময় খোলা।’ প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকারীরা তাদের দাবিগুলো আইনজীবীদের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন। আমরা সেটি গুরুত্বসহ শুনব।’
যদিও এসব কিছু তোয়াক্কা না করেই সড়কে নেমেছেন কোটাবিরোধীরা। তারা বিকেল সোয়া ৫টার দিকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ-হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় অবরোধ করেছেন। এরপর থেকে ওই এলাকা স্লোগানে মুখরিত রয়েছে।