উপদেষ্টা ফারুকীর অপসারণ দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ফারুকীর শপথ গ্রহণ এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর গতকাল রোববার (১০ নভেম্বর) রাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
বিভিন্ন সময় ফারুকীর দেওয়া সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের পোস্ট শেয়ার করে তাকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর উল্লেখ করে সরব হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বটতলায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক তৌহিদ সিয়াম বলেন, বিগত সরকার মুজিববাদকে পুঁজি করে একটি ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেই শাসনের প্রতীক হয়ে উঠেছিল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি এবং টুঙ্গিপাড়ার মাজার। গণঅভ্যুত্থানের পর মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ৩২ নম্বর বাড়ি সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা আমাদের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরান শাহরিয়ার বলেন, তিন মাস আগে হাজারো ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখন লক্ষ্য করছি এই সরকারও ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যারা আমাদের আহত ও নিহত ভাইদের হত্যা করেছিল, তাদের বিচার এখনও হয়নি। এর বদলে তারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, আমাদের ভাইয়েরা জীবন দিয়ে ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করেছিল। ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে, ছাত্রসমাজ ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে পিছপা হবে না।