গোপালগঞ্জের তিন ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ২৫
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে আহত হয়েছে ২৫ জন। এছাড়া ২৫ থেকে ৩০টি বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কাশিয়ানী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত পরাজিত তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রথীন্দ্রনাথ রায় এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এলাকায় বিজিবি, পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান সদস্যদের টহল অব্যাহত রয়েছে।
কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২ জন ভর্তিসহ বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে আরও অনেককে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এসব এলাকা এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ১০টার দিকে সাজাইল ইউনিয়নের নির্বাচনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাহবুব আলম সেলিম সমর্থকরা এলাকায় একটি বিজয় মিছিল বের করে। এ মিছিলকে কেন্দ্র করে বিজয়ী প্রার্থী মো. মাহবুব আলম সেলিম ও পরাজিত আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের সমর্থকরা লাঠিসোটা, ঢাল-সড়কি ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ থেকে ১৬ জন আহত ও বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অপরদিকে, কাশিয়ানী ইউনিয়নের বুথপাশা ও পিংগুলিয়া গ্রামেও পরাজিত আওয়ামী লীগের মশিউর রহমানের (নৌকা) ও বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগনেতা মোহাম্মাদ আলী খোকনের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এছাড়া রাতইল ইউনিয়নের পাথরঘাটা ও ধানকোড়া গ্রামে পরাজিত আওয়ামী লীগের বি এম হারুন অর রশিদ (নৌকা) ও বিজয়ী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আঞ্জুরুল ইসলাম আঞ্জুর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।