দৌলতখানে বিজয়ী ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২০
ভোলার দৌলতখান উপজেলার ভবানিপুর ইউনিয়নে বিজয়ী ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আজ শুক্রবার দুপুরের পর ভবানীপর ইউনিয়নের চৌড়াস্তা এলাকায় এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলেন কামাল হোসেন, আজাদ, বাবলু, মিরাজ, ছলেমান, মো. সিরাজ,জাফর, হানিফ, মামুন, জাকির, আলমগীর কবির, মিরাজ, দুলাল ও বাচ্চু।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে, আজ দুপুরের দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফুটবল প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী মো. কামাল হোসেন তাঁর কর্মীসমর্থকদের ওই ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. আওলাদ হোসেনের কাছে যাচ্ছিল। এ সময় একই ওয়ার্ডের মেম্বার পদে মোরগ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী মো. সিরাজের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা করে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লাগে। সংঘর্ষে আহত ২০ জনকে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
আহত মেম্বার প্রার্থী মো. কামাল হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার ভবানীপুর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণের দিন ভোট গণনায় অনিয়মের বিষয়টি জানাতে তিনি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেনের কাছে যান। ওই সময় প্রতিপক্ষ সিরাজের কর্মীরা তার সমর্থকদের ওপর হামলা করে। হামলায় তাঁর ১০ থেকে ১২ জন সমর্থক আহত হন। পরে আহতদের দৌলতখান হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও হামলা করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে নির্বাচিত ইউপি সদস্য সিরাজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপরে দৌলতখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।’
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান বলেন, ‘দুইপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’