ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪ ইউপিতে বিজয়ী যাঁরা
ষষ্ঠ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও নবীনগর উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় জেলা নির্বাচন অফিস থেকে পাঠানো তথ্যে জানা যায়, নবীনগর উপজেলার সাতটি ইউপি নির্বাচনের চারটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
বেসরকারিভাবে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা হলেন বিটঘর ইউপিতে মেহেদী জাফর (নৌকা), কাইতলা দক্ষিণ ইউপিতে মো. শওকত আলী (নৌকা), বড়াইল ইউপিতে মো. জাকির হোসেন (নৌকা) ও বিদ্যাকুট ইউপিতে জাকারুল হক (নৌকা)। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন কৃষ্ণনগর ইউপিতে আমজাদ হোসেন (চশমা), শিবপুর ইউপিতে এম আর মজিব (আনারস) এবং নাটঘর ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আক্তারুজ্জামান (মোটরসাইকেল)।
এদিকে কসবা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে দলীয় প্রতীক ছাড়া উন্মুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে বিজয়ীরা হলেন মেহারী ইউপিতে মোশারফ হোসেন (টেবিলফ্যান), বাদৈর ইউপিতে শিপন আহম্মদ ভুইয়া (চশমা), গোপীনাথপুর ইউপিতে মো. মিজানুর রহমান (টেবিলফ্যান), বিনাউটি ইউপিতে বেদন খান (ঘোড়া), কায়েমপুর ইউপিতে ইকতিয়ার আলম রনি (আনারস), বায়েক ইউপিতে মো. বিল্লাল হোসেন (অটোরিকশা) ও কসবা পশ্চিম ইউপিতে মো. মানিক মিয়া (অটোরিকশা)।
এর আগে আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই উপজেলার ১৪ ইউপিতে ইভিএমে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হওয়ায় বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। বিশেষ করে আঙুলের ছাপ না আসা এবং নানা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ভোটারদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এ ছাড়া অনেকেই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ভোট না দিয়েই বাড়ি ফিরে যায়।
প্রসঙ্গত, কসবা উপজেলার সাতটি ও নবীনগর উপজেলার সাতটি মোট ১৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৯৫ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৪৯ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪৫২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসন।