মাদারীপুরে ভোটকেন্দ্রে দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আন্ডারচর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এতে ব্যাপক বোমা বিস্ফোরণ, গোলাগুলি ও কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটে। পরে সাময়িকভাবে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে বেলা ১১টার দিকে পুনরায় ভোটগ্রহণ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল ১০টার দিকে সাহেবরামপুর ইউনিয়নের আন্ডারচর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সর্দার ও আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল আহসান সেলিম এলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুইপক্ষের লোকজন অন্তত দুই শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ করে ভোটরদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে পুলিশ ও স্টাইকিং ফোর্স, র্যাব ও বিজিবি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ সাময়িক স্থগিত করা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্যে অন্তত ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায়। এছাড়া আলীনগর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান দুই প্রার্থীর সমর্থকদের হাতাহাতি হয়।
মাদারীপুর জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, রমজানপুর ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বাকি ১২টি ইউরিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৬ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৭৫ জন। এছাড়া মোট সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন এক লাখ ৬৯ হাজার ৬৩৪ জন ভোটার। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮২ হাজার ১৪৩ জন ও পুরুষ ভোটার ৮৭ হাজার ৪৯০ জন ভোটার।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক আনতে অন্তত ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করা হয়েছে। জেলা পুলিশ ছাড়াও র্যাব, বিজিবি সদস্যদের সহযোগিতায় প্রতিটি কেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কেন্দ্রের ভেতরে কাউকে আসতে দেওয়া হয়নি। বাহিরে দুইপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সাময়িক ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে বিবেচনা করে ভোট নেওয়া হবে। সাহেবরাপুর ছাড়াও আরও ১২টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হয়েছে।