রাণীনগরের পাঁচ ইউপিতে নৌকা, তিনটিতে স্বতন্ত্রের জয়লাভ
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার আটটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। এছাড়া একটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী ও দুটি ইউনিয়নে বিএনপির (স্বতন্ত্র) প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, খট্রেশ্বর রাণীনগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে চন্দনা সারমিন রুমকি (নৌকা) ১১ হাজার ৩৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির (স্বতন্ত্র) প্রার্থী ফরহাদ হোসেন (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন এক হাজার ১৪ ভোট, কাশিমপুর ইউনিয়নে বিএনপির (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মকলেছুর রহমান বাবু (আনারস) চার হাজার ৬২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলমগীর হোসেন (নৌকা) পেয়েছেন তিন হাজার ৪১৫ ভোট, গোনা ইউনিয়নে আব্দুল খালেক (নৌকা) তিন হাজার ৩৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আব্দুল আরিফ রাঙ্গা (ঘোড়া) পেয়েছেন দুই হাজার ৯১৩ ভোট, পারইল ইউনিয়নে যুবদল নেতা (স্বতন্ত্র) জাহিদুর রহমান জাহিদ (ঘোড়া) চার হাজার ৮৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুরে আলম সিদ্দিকী দুলাল (নৌকা) পেয়েছেন তিন হাজার ৫০৩ ভোট, বড়গাছা ইউনিয়নে আব্দুল মতিন (নৌকা) সাত হাজার ৮০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মহসিন মল্লিক (ঘোড়া) পেয়েছেন চার হাজার ২৫৭ ভোট, কালীগ্রাম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আব্দুল ওহাব চাঁন (ঘোড়া) আট হাজার ৩৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুবাস চন্দ্র সরকার বাবলু (নৌকা) পেয়েছেন চার হাজার ৪১৫ ভোট, একডালা ইউনিয়নে শাহজাহান আলী (নৌকা) আট হাজার ৯২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রাথী রুহুল আমিন (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন পাঁচ হাজার ২৩০ ভোট ও মিরাট ইউনিয়নে জিয়াউর রহমান জিয়া (নৌকা) পাঁচ হাজার ৮১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী ফখরুল আলম (ঘোড়া) পেয়েছেন তিন হাজার ৩৬৭ ভোট।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আটটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৮ জন, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ৮৮ জন এবং সাধারণ ইউপি সদস্য (মেম্বার) পদে ২৬৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার রেজাউল করিম জানান, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এবং কোনো প্রার্থীর কাছ থেকে থেকে কোনো অভিযোগও পাওয়া যায়নি।