সাতকানিয়ায় ‘ভোটকেন্দ্রে ছুরিকাঘাত ও গুলিতে’ দুজন নিহত
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন চলাকালে ভোটকেন্দ্রে ছুরিকাঘাত ও গুলিতে কিশোরসহ দুজন নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নলুয়া বোর্ড অফিস ও বাজালিয়া ইউপির ২ নম্বর বোর্ড অফিস কেন্দ্রে আজ সোমবার দুপুরের দিকে এ দুই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এর মধ্যে নলুয়া বোর্ড অফিস কেন্দ্রে ছুরিকাঘাতে তাসিব নামের এক কিশোর এবং বাজালিয়া ইউপির ২ নম্বর বোর্ড অফিস কেন্দ্রে গুলিতে আবদুস শুক্কুর (৩৮) নামের এক যুবক নিহত হন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
নিহত তাসিব নলুয়া ইউনিয়নের মরফলা এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে। সে মরফলা আর এম এন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
এ ছাড়া বাজালিয়ায় নিহত আবদুস শুক্কুর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তাপস কান্তি দত্তের সমর্থক ছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন সাতকানিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান।
কেরানীহাট মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাকিব উদ্দিন জানান, দুপুরের দিকে আবদুস শুক্কুর নামের একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় কিছু লোকজন নিয়ে আসেন। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। শরীরের বেশ কিছু অংশে গুলির আঘাত রয়েছে।
অন্যদিকে, কিশোর তাসিবের নিহতের ঘটনায় বোর্ড অফিস কেন্দ্রে ইউপি সদস্য প্রার্থী মিজানুর রহমান বলেন, ‘নৌকার সমর্থকেরা শান্তিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে অতর্কিত হামলা করে কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে কিশোর তাসিবকে খুন করেছে।’
এ বিষয়ে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, ‘গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এরপর বিস্তারিত জেনে ঘটনা সম্পর্কে জানাতে পারব।’
নির্বাচন ঘিরে প্রচারের শুরু থেকে সহিংস হয়ে ওঠা সাতকানিয়ার ১৬ ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে। আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এদিকে, এসব ইউপির ১৪৫টি কেন্দ্রে শুরু হওয়া ভোট অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রশাসন অধিক গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ ক্যাটাগরিতে থাকা কেন্দ্রগুলোকে ভাগ করে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট, পাঁচ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবসহ পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বাজালিয়া ইউপির বড়দুয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল্লাহ চোধুরী অভিযোগ করেছেন, তাঁর কর্মী-সমর্থকদের পেটানো হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। কেন্দ্র থেকে তাঁদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন শহিদুল্লাহ।