সাতক্ষীরায় চেয়ারম্যান পদে জামানত হারালের ২৪ প্রার্থী
দ্বিতীয় ধাপের ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচনে পর্যাপ্ত ভোট না পাওয়ায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে জামানত হারিয়েছেন ২৪ জন প্রার্থী। এসব ইউনিয়নে বিভিন্ন দলের ৬৪ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাঁশদহা ইউপিতে ৩৩৫ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন টেলিফোন প্রতীকের মো. আব্দুল খালেক ও দুটি পাতা প্রতীকের ময়নুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ২৭ ভোট। কুশখালি ইউনিয়নে জামানত হারিয়েছেন ঢোল প্রতীকের আবুল কালাম আজাদ। তিনি পেয়েছেন ১১ ভোট, টেবিলফ্যান প্রতীকের ইকবাল হোসেন ১৫৯ ভোট। একই ইউনিয়নে মো. কবির উদ্দিন ঘোড়া প্রতীকের বিপরীতে পেয়েছেন ৭৯ ভোট। লাঙল প্রতীকের মুনসুর আলী সরদার ১২৭ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। এছাড়াও মো. সাইফুদ্দিন পলাশ ২৫৬ ভোট, হুমায়ুন কবির ২৮৫ ভোট এবং শফিকুল ইসলাম ১৪৬৫ ভোট পেয়ে তাদের জামানত হারিয়েছেন।
লাবসা ইউনিয়নে মো. শাহীন হোসেন সাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৯৫টি। এদিকে, বল্লী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী খায়রুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৬ ভোট।
অপরদিকে আগরদাঁড়ি ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের মো. নুরুল ইসলাম পেয়েছেন ২২৯ ভোট, ঝাউডাঙা ইউনিয়নে ১৮০৭ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়দেব ঘোষ জামানত হারিয়েছেন।
অন্যদিকে, ঘোনা ইউনিয়নে বিএনপির মো. কামরুজ্জামান আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৯১ ভোট, মো. বদরুজ্জামান লাঙল প্রতীক নিয়ে ৫৪৩ ভোট, বৈকারি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আসাদুজ্জামান অসলে ১১২৫ ভোট এবং জামায়াতের জালাল উদ্দিন আনারস প্রতীক নিয়ে ৬৯১ ভোট পেয়ে তাদের জামানত খুইয়েছেন।
ভোমরা ইউনিয়নে মো. মমিনুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৮৬ ভোট এবং শিবপুর ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলনের ইমাদুল হোসেন ৩৩৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
এদিকে, ফিংড়ী ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলনের বেলাল হোসেন হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ১৮৪ ভোট ও মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ২১৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন সেলিম রেজা গাজী। ধূলিহর ইউনিয়নে ফজলুর রহমান ২২২ ভোট এবং মশিউর রহমান ৬২২ ভোট পেয়ে তাদের জামানত হারিয়েছেন। ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউনিয়নে জামানত হারিয়েছেন মো. এবাদুল ইসলাম। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের এই নেতা হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪২৯ ভোট।