সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ ইসির
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী ও ভোটারদের নিরাপত্তা, প্রচার-প্রচারণা নির্বিঘ্ন করতে এবং নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করতে এবং নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূলে রাখতে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের তালিকা করে গ্রেপ্তারসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছে ইসি। আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) ইসির জারি করা পরিপত্রে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়, সব শ্রেণির ভোটার যাতে তাদের ভোটাধিকার নির্ভয়ে প্রয়োগ করতে পারেন, তার নিশ্চয়তা দেওয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও স্থানীয় আস্থাভাজন কর্মীদেরও সঙ্গে নিয়ে একটি এবং প্রয়োজনে একাধিক বৈঠক আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে।
এতে বলা হয়, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আইন ও বিধিগত দিক উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করতে হবে। কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তা অবিলম্বে তদন্ত করে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
নির্বাচনি এলাকার সর্বস্তরের ভোটার বিশেষ করে নারী ভোটারদের নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে ভোটদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাতে নেওয়া কার্যক্রম সম্পর্কে যেন সব শ্রেণির ভোটার আগে থেকে নিশ্চিত হতে পারেন, তা উপযুক্ত প্রচারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের জানাতে হবে।
এ ছাড়া, ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাসহ সবধরনের বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার পরিচালনা জোরদার করতে হবে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের তালিকা প্রণয়ন করে চাঁদাবাজ, মাস্তান ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করতে হবে। পর্যাপ্তসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন করতে হবে বলে পরিপত্রে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া চিহ্নিত গোলযোগপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে বেশিসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
পরিপত্রে আরও জানানো হয়, অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাদের সমর্থকরা যাতে নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলেন; কোনো উসকানিমূলক ও ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে এমন কার্যকলাপ বা বক্তব্য যেন না দেন; অর্থ, পেশিশক্তি অথবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা যেন কেউ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে না পারেন; পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক যেন বজায় রাখা যায় তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা কামনা করতে হবে। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখন চলছে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই। প্রতীক বরাদ্দের পর ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা।