রাষ্ট্রপতির অনুমতি পেলে হবে সেনা মোতায়েন, থাকতে পারে ১৩ দিন
ঘনিয়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ। ইতোমধ্যে যাছাই-বাছাই শেষে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চলছে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি। এই নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে থাকতে পারে সেনাবাহিনীও। ইসিও চায় সেটি। হয়েছে আলোচনাও। এখন রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধের পর তিনি সিদ্ধান্ত দিলে হবে সেনা মোতায়েন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আজ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এসব তথ্য জানান। এর আগে সেনা মোতায়েন নিয়ে ইসির সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর বৈঠক হয়। সেই বৈঠক শেষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন হোক, তা ইসি চায়। এটা একটা প্রারম্ভিক আলোচনা। কীভাবে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হবে, কোথায় কোথায় তারা কীভাবে কাজ করবে, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত, সেনা মোতায়েনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করবেন। তার ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত দিলে অবশ্যই নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে। আমি নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করেছি, তারা যেভাবে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা চাইবেন, সেভাবে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।’
সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ বলেন, ‘ইসি চায় সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হোক, এ ব্যাপারে আমার সামান্যতম সন্দেহ নেই। একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশন খুবই সিরিয়াস। রাষ্ট্রপতি নির্দেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হলে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব যেন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে। অতীতের নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হয়েছে, এবারও রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলে ইনশা আল্লাহ সেনা মোতায়েন হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘এবারও ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হবে।’ কতদিনের জন্য সেনা মোতায়েনের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিনের জন্য মোতায়েনের জন্য মোটামুটি আলোচনা হয়েছে।’
স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী নামছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘এত বিস্তারিত আলোচনা হয়নি।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ৩৫ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন ছিল। এবারের নির্বাচনে যদি বেশি প্রয়োজন হয়, তাহলে বেশি সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করব।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘অতীতে যেভাবে মোতায়েন হয়েছে, সেভাবেই বিদ্যমান আইন অনুযায়ী হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘আমরা প্রারম্ভিক আলোচনা করেছি। রাষ্ট্রপতি সেনা মোতায়েনে সম্মতি দিলে আমরা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করব। সেনা মোতায়েনে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব পাঠানোর বিষয়ে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’