শরীয়তপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৭
শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলীর ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে নড়িয়া উপজেলার বাঁশতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাতজন সমর্থক আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন—নজরুল ইসলাম বেপারী (৪৫), রশিদ চৌকিদার (৩৫), আব্দুর রহিম (৪০), আব্দুল মান্নান বেপারী (৫০), নজরুল খলিফা, সুমন মোড়ল ও মহিদুল ইসলাম।
জানা গেছে, আহতদের নড়িয়া উপজেলা মাজেদা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাদের মধ্যে নজরুল বেপারীর (৪৫) অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘নড়িয়া বাঁশতলা এলাকায় পূর্ব নির্ধারিত জনসংযোগ ও মিছিল ছিল। মিছিল যখন শুরু হয় নৌকার সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ করে। পরে দেশি-বিদেশি অস্ত্র, রামদা, হাতুরি, বাঁশ, লাঠি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে সাতজন গুরতর আহত হয়েছেন। পাশাপাশি আনুমানিক আরও ২০ জন আহত হয়েছে। নজরুল ইসলাম বেপারী নামে এক সমর্থকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
ওই আসনের নৌকার নির্বাচনি পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও নড়িয়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে নৌকার সমর্থকরা জড়িত না। তাদের পূর্ব কর্মসূচি থাকায় আমাদের কর্মীরা কেউ ওই এলাকায় যায়নি। মূলত তারা নিজেরাই এ ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। আমার মনে হয় তারা নিজেরাই জাজিরার বিলাশপুর থেকে এই ককটেল সংগ্রহ করেছে। এর আগেও তারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাদের সমর্থকদের ওপর হামলা করে আহত করেছে।’
নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবীব বলেন, ‘বাঁশতলা এলাকায় বিকেলে একটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরপরই শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী যদি অভিযোগ দেয় তাহলে মামলা হবে।’