গাইবান্ধা-৫ আসনে চার কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারে হাইকোর্টের আদেশ বহাল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা (সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) মো. ইসহাক আলীসহ চার কর্মকর্তাকে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনা থেকে অবিলম্বে প্রত্যাহারের হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের আদালত এ আদেশ দেন।
অন্য তিন কর্মকর্তা হলেন- উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাদেকুজ্জামান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান হাবীব ও ফুলছড়ির উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন।
এর আগে বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলীর রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে রুলসহ ৪ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের আদেশ দেন। এ আদেশের প্রেক্ষিতে চেম্বার আদালতে আবেদন করে ইসি।
এর আগে ফারজানা রাব্বী নির্বাচন কমিশনে একটি অভিযোগ দেন। যাতে তিনি বলেন, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার অনেক কর্মকর্তা ও সাতটি কলেজের অনেক শিক্ষক নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও তার সমর্থকরা বুবলীর কর্মী–সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছেন। তারা বলেছেন, স্থানীয় প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করে ২০২২ সালের মতো পরিবেশ সৃষ্টি করে ভোটের ফলাফল নৌকার পক্ষে নেবেন।
সিইসি বরাবর আবেদন করে প্রতিকার না পেয়ে ফারজানা রাব্বী রিটটি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন ও এ বি এম ছিদ্দিকুর রহমান খান।