তফসিল ঘোষণার পরও কুসিক উপনির্বাচন নিয়ে সংশয়
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে কুমিল্লা সিটি করপোশনের (কুসিক) উপনির্বাচনের তফসিল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ মার্চ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এই উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাচাই ১৫ ফেব্রুয়ারি, আপিল নিষ্পতি ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ ২৩ ফেব্রুয়ারি।
তবে তফশিল ঘোণা হলেও কুসিক উপনির্বাচন সঠিক সময়ে হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তফসিল ঘোষণার পরই নগরীর ৩ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের ঘোষণা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসন। শুধু তাই নয়, সীমানা নির্ধারণ হলেই নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। আর এতেই সংশয় দেখা দিয়েছে উপনির্বাচন নিয়ে। আদৌ সঠিক সময়ে কুসিক উপনির্বাচন হবে কি না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুসিক উপনির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ফরহাদ হোসেন বলেন, নির্বাচন হবে মেয়র পদে। তাই সীমানা সম্পর্কিত যে জটিলতা দেখা দিয়েছে তার জন্য সমস্যা হবে না। যদি কাউন্সিলর নির্বাচন হতো তখন হয়তো সীমানা সমস্যাটি আগে সমাধান করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিত। ভোটগ্রহনে এখানে আইনগত তেমন সমস্যা হবে না।
ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের ভোট হবে ইভিএমে। কুমিল্লায় এক হাজার ৪০২টি মেশিন আছে- সেগুলোর কিউসি- কোয়ালিটি চেকিং করা হবে। সেগুলোতে না হলে অন্যান্য জায়গা থেকে মেশিন আনা হবে। নির্বাচনের আগে ইভিএমগুলো দুবার পর্যবেক্ষণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, আমাদের কাজ সঠিক পুনর্বিন্যাসের তথ্য পাঠানো- বাকি সব দেখবে মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশন।
জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, খসড়া অনুযায়ী কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৪২ হাজার ৪৬০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ২৪ হাজার ২৭৯ জন এবং পুরুষ ভোটার এক লাখ ১৮ হাজার ১৭৯ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন দুজন।
২০২২ সালের ১৫ জুন দুই বারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে মাত্র ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে নগরপিতা হন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা আরফানুল হক রিফাত। তিনি মাত্র দেড় বছর মেয়র হিসেবে কাজ করেন। ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যুতে সিটি মেয়রের পদটি শূন্য হয়।