দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণে কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটের প্রচার-প্রচারণা গতকাল রোববার রাতে শেষ হয়েছে। আজ সোমবার (২০ মে) ইভিএম মেশিনসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম ভোটকেন্দ্র পৌঁছানো হচ্ছে। সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পাঠানো হচ্ছে ভোটকেন্দ্রে।
ভোটগ্রহণ সকাল ৮টায় শুরু হয়ে টানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আজ রাত ১২টা থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত বোটসহ (নির্দিষ্ট রুটে চলাচলকারী ব্যতীত) অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
১৩ হাজার ১৬ কেন্দ্রের ৯১ হাজার ৫৮৯ ভোট কক্ষে তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ৭৪৮ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এরমধ্যে পুরুষ এক কোটি ৭৯ লাখ পাঁচ হাজার ৪৬৪, নারী এক কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ২৩৭। নির্বাচনে মোট পুলিশ মোতায়েন থাকবে ৮৯ হাজার ৮৬৩ জন। এ ছাড়া এক লাখ ৯৩ হাজার ২৮৭ আনসার সদস্য ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।
গত ১ এপ্রিল দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। এই ধাপে তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এক হাজার ৬৩৫ প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ এবং মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৫২৮ প্রার্থী। তবে ভোটের আগেই তিনটি পদে ২২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে দুটি উপজেলার তিনটি পদে কোনো ভোটগ্রহণ করা লাগবে না। উপজেলা দুটি হলো কুমিল্লার আদর্শ সদর এবং চট্টগ্রামের রাউজান।
দ্বিতীয় ধাপের এ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে সারা দেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪৫৭ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী ২৩ মে পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইলফোন ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। এই ধাপে গত ১ মে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন প্রার্থীরা।