রাজশাহীতে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষে আহত ৭
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার একটি ভোটকেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে উপজেলার নয়াপাড়া গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ভোটারদের বাধা ও হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগে এ উপজেলায় একজনকে আটক করেছে র্যাব।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন–গোপালপুর গ্রামের আজের, আজাদ, শহিদুল, শুকচান, মিঠু, আব্দুর রাজ্জাক ও সান্টু। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘ভোটাদেরকে ভোটের স্লিপ দেওয়ার জন্য গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে পাশাপশি বসেছিল দুর্গাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিফুজ্জামান শরিফ এবং আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ সরদারের সমর্থকরা। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক থেকে উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে এটি একটি বিচ্ছন্ন ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
এদিকে, নান্দিগ্রাম দারুস সালাম আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে ভোটারদের ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগে একজনকে আটক করে র্যাব। আটক আতাহার আলী (৪২) নান্দিগ্রামের বাসিন্দা।
দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ সরদার ঘোড়া প্রতীক ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শরীফুজ্জামান শরিফ মোটরসাইকেল প্রতীকে। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুল কাদের মন্ডল টিউবওয়েল প্রতীক, শামীম ফিরোজ তালা প্রতীক ও মোসাব্বের সরকার জিন্নাহ টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। আর সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বানেছা বেগম ফুটবল প্রতীক ও কোহিনুর বেগম কলস প্রতীক নিয়ে।
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামাণিক বলেন, ‘নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তায় র্যাব, পুলিশ, আনসার সদস্য ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। এখানে মোট ভোটকেন্দ্র ৬৭টি। মোট ভোটার এক লাখ ৫৯ হাজার ৯৩৩ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে একজন।’