৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ কাল, কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম
আগামীকাল ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে দেশের ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) ইভিএম মেশিনসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম ভোটকেন্দ্র পৌঁছানো হচ্ছে। সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পাঠানো হচ্ছে ভোটকেন্দ্রে।
আগামীকাল বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই ধাপে ১০৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে গতকাল সোমবার ১৯টি এবং আজ আরও তিন উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। ফলে আগামীকাল ৮৭ উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, যেসব নির্বাচনি এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের পানি প্রবেশ করেছে, কোথাও কোথাও বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে, কোথাও কোথাও গাছ উপড়ে পড়েছে, কোথাও বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে, এসব বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন কমিশন মোট ১৯ উপজেলার ভোটগ্রহণ আপাতত স্থগিত করেছে।
এগুলো হলো-বাগেরহাটের শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালী সদর, দুমকী, মির্জাগঞ্জ, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার তজুমদ্দিন, লালমোহন, ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়া, বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা এবং রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা।
এ ছাড়া ইভিএম মেশিনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছন্ন থাকায় চাঁদপুরের কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ এবং সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার ভোট আজ স্থগিত করেছে কমিশন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এই ধাপে এক হাজার ১৫২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৯৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৫৬ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন উপরক্ষ ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত, অর্থাৎ ২৮ মে দিনগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৯ মে দিনগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তিন দিনের জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি। ভোটের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠে নামানো হয়েছে বিজিবি ও পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্বাচনি অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ পরিচালনায় মাঠে রয়েছেন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও আচরণবিধি প্রতিপালনে মাঠে রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে গঠিত বিভিন্ন টিমের বিষয়ে ইসির এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভিজিল্যান্স টিম ও অবজারভেশন টিম, মনিটরিং টিম ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠন এবং উক্ত টিমসমূহের কার্যক্রম নির্ধারিত তিন দিন পর পর বা ক্ষেত্রমতো তাৎক্ষণিক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবহিত করতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা টিমসমূহ কর্তৃক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবগত করানোর জন্য নির্দেশনা দেবেন।
এ ছাড়া উপজেলা নির্বাচনের সামগ্রিক কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকল্পে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।