ক্যারিয়ারের ২২ বছরে শাকিবের কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ
গোপালগঞ্জের মাসুদ রানা ঠিক ২২ বছর আগের আজকের দিনে নতুন এক পরিচয় গ্রহণ করেছিলেন। নিজের নাম বদলে পা রেখেছিলেন স্বপ্নের সিঁড়িতে। সেই সিঁড়ি বেয়ে আজ তিনি দেশের শীর্ষ সিনে তারকা। প্রায় এক যুগ ঢাকাই সিনেমায় চলে তাঁর রাজত্ব; তিনি শাকিব খান।
১৯৯৯ সালের আজকের দিনে শাকিব খানের প্রথম সিনেমা ‘অনন্ত ভালোবাসা’ মুক্তি পেয়েছিল। সেই হিসেবে আজ শাকিবের ক্যারিয়ারের ২২ বছর। এমন দিনে শাকিব মনে করেন কঠোর পরিশ্রম ও হাল না ছাড়ার জন্য তাঁর ক্যারিয়ার এতটা দীর্ঘ হয়েছে। এমন বিশেষ দিনে সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাতেও ভুল করেননি ঢালিউড কিং খান।
অন্তর্জালে শাকিব এক বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘যখন চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করি তখন আমি অপরিপক্ক কিন্তু দূরদর্শী ছিলাম। জানতাম না কোথায় যাচ্ছি বা কি করব! শুধু এটুকু জানতাম, আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং কোনো সময় হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না। আজ যখন ফিরে তাকাই, তখন আমি সকল মানুষ এবং অভিজ্ঞতার কাছে কৃতজ্ঞ।’
ধন্যবাদ জানিয়ে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী এই চিত্রনায়ক আরও যুক্ত করেছেন, “আমার প্রথম চলচ্চিত্র ‘অনন্ত ভ্যালোবাসা’র পরিচালক এবং প্রযোজকের কৃতজ্ঞ, যারা আমাকে সুযোগ দিয়েছিলেন। এরপর আমার সকল পরিচালক, প্রযোজক, সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং বিশেষ করে আমার ভক্তদের ধন্যবাদ দিচ্ছি যাদের জন্য আজকের আমি তৈরি হয়েছি।”
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘধীতে জন্মগ্রহণ করেন শাকিব। যদিও সে সময় শাকিব খান ছিলেন শুধুই মাসুদ রানা। ১৯৯৯ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে পা রাখেন শাকিব। সে সময়ই নাম পাল্টে মাসুদ রানা থেকে শাকিব খান হয়ে ওঠেন তিনি।
এই নামের প্রসঙ্গে শাকিব খান জানিয়েছিলেন, সোহানুর রহমান সোহান ভাইসহ প্রথম সিনেমার ইউনিট বেশ কয়েকটি নাম পছন্দ করেছিলেন। সেখান থেকে আমিই শাকিব খান নামটি পছন্দ করেছিলাম।
নিজের প্রথম সিনেমা ‘অনন্ত ভালোবাসা’-তে সাফল্য না পেলেও নজর কাড়েন শাকিব। এক বছরের মধ্যেই শাবনূর, পপি, পূর্ণিমা, মুনমুন—তখনকার সেরা চার নায়িকার সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি।
২০০৮ সালে নায়ক মান্নার মৃত্যুর পর শাকিব খানকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। জনপ্রিয় নায়ক থেকে হয়ে উঠেছেন ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক।