তপুর সেই বন্ধুরা কি এখনো আছেন?
২০০৮ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় ‘বন্ধু ভাবো কি’ শিরোনামে প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেই সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন রাশেদ উদ্দিন আহমেদ তপু। এরপর সেই অ্যালবামের জন্যই গায়ক থেকে সিনেমার নায়কও বনে গিয়েছিলেন। তবে নায়ক হয়ে তপু যতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, তার চেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন বন্ধুদের নিয়ে গান গেয়ে।
সম্প্রতি এনটিভি অনলাইন তপুর কাছে জানতে চেয়েছে সেই বন্ধুদের খবরসহ তাঁর সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার তপু এনটিভি অনলাইনের সেসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপে।
এনটিভি অনলাইন : আপনার গানের সেই ছোট তরীতে তো একজন উঠে পড়েছেন। সেই তরীতে চড়ে আপনাদের ঘরে এখন আরো এক ‘তরী’ এসেছে। তার কী খবর?
তপু : আমাদের ছোট তরী ভালো আছে। করোনার সময়ে যতটুকু সম্ভব তাকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যেটা কিছুদিন আগে সম্ভব হয়নি, হয়তো কিছুদিন পরেও আর সম্ভব হবে না। সে কারণে যতটুকু সম্ভব পরিবার ও ছোট তরীকে সময় দেওয়া হচ্ছে।
এনটিভি অনলাইন : ‘মন ভালো নেই’ গান গেয়ে অনেকের মন খারাপ করে দিয়েছেন। তা আপনার মন খারাপ হলে কি আপনি ওই গান শোনেন, নাকি অন্য কিছু করেন?
তপু : আমার মন খারাপ হলে চুপচাপ ভাবি। মাঝেমধ্যে ছাদে গিয়ে আকাশের দিকে তাকাই। তখন নিজেকে অনেক ক্ষুদ্র মনে হয়। মনে হয় যে, এই ক্ষুদ্র জীবনে মন খারাপ করাটা সময়ের অপচয়।
এনটিভি অনলাইন : গানে বলেছেন, ‘এক পায়ে নূপুর আমার, অন্য পা খালি’। ব্যক্তিজীবনে তপুর এখনো খালি কী আছে?
তপু : আমার জীবনে কোনো অপূর্ণতা নেই। আমি মনে করি, আমার জীবন আসলে যেমন হওয়ার কথা ছিল, ঠিক তেমনই হয়েছে। প্রত্যেক মানুষের জীবন আসলে যেভাবে অতিবাহিত হওয়ার কথা, সেভাবেই অতিবাহিত হয়। আমি বিশ্বাস করি, আমি তপু যেভাবে আছি বা ভবিষ্যতে থাকব, সেটা জীবনের লিখন।
এনটিভি অনলাইন : বন্ধুকে আপনার একটা গোপন কথা বলার ছিল। দীর্ঘদিনেও সেই গোপন কথা বলতে পারলেন না। আজ সেই সুযোগ পাচ্ছেন। চাইলে সেই গোপন কথাটা বলে ফেলতে পারেন কিন্তু...
তপু : আমার সেই গোপন কথা না হয় গোপনই থাক।
এনটিভি অনলাইন : আপনার গানের সেই মেয়ে কি এখনো তপুকে বন্ধু ভাবে, নাকি এখন বন্ধুর চেয়ে একটুখানি বেশি ভেবে ফেলেছে...
তপু : আমি জানি না, আসলে কী ভাবে। তবে আমার মনে হয়, এখনো বন্ধুর চেয়ে একটু কমই ভাবে।
এনটিভি অনলাইন : যে বন্ধুদের গান গেয়ে আজ তপু হয়েছেন, সেই বন্ধুরা কি এখনো আছে?
তপু : আমার গানের কথাগুলো যেসব বন্ধুকে মনে করে লেখা, তাদের অনেকেই আছে, আবার অনেকেই দুঃখজনকভাবে চলে গেছে। তবে আমার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, গান ও চাকরির জগতের সব বন্ধুই আমাকে আজকের তপু হতে সাহায্য করেছে।
এনটিভি অনলাইন : আপনার গান ও ব্যান্ডদলের সর্বশেষ আপডেট কী?
তপু : দীর্ঘদিন ব্যান্ডদলের কোনো আপডেট নেই। করোনার জন্য দলগত যেকোনো কাজই আসলে পিছিয়ে পড়েছে। আমার ব্যান্ডদলও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে আমি নিজের চেষ্টায় কিছু সলো গান করার চেষ্টা করছি। একটা গান অনেক দিন পর রাফার সঙ্গে করছি। এর আগে রাফার জন্য আমার ‘সে কে’ অ্যালবামে কাজ করেছি। এরপর আর ওর সঙ্গে কাজ করা হয়নি। সে চিন্তা থেকেই কাজটা করা। গানটা প্রায় শেষের দিকে।
এনটিভি অনলাইন : গানের বাইরে পেশাগত জীবনে আপনি এখন কী নিয়ে ব্যস্ত আছেন?
তপু : আমি সব সময় গানের পাশাপাশি পড়াশোনা ও পেশা চালিয়ে গিয়েছি। আগে আমি একটি টেলিকম কোম্পানিতে ছিলাম। এখন একটি টেকনোলজি কোম্পানিতে আছি। বর্তমানে বাসা থেকেই অফিসের কাজ করছি।
এনটিভি অনলাইন : বর্তমানে আপনাকে বিভিন্ন সামাজিক কাজে দেখা যাচ্ছে...
তপু : আমি যখনই সুযোগ পেয়েছি, সব সময়ই চেষ্টা করেছি বিভিন্ন কাজে জড়িত হওয়ার জন্য। করোনার সময়ে রিসোর্স কো-অর্ডিনেশন নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (আরসিএনবি) একটি উদ্যোগ নিয়েছিল, আমি সেখানে যুক্ত হয়েছিলাম। এ ছাড়া আমার আইডিয়ায় আমার টি-শার্ট বিক্রির পুরো টাকাটাও তাঁদের দিয়েছি। আমি এর আগেও যখনই সুযোগ পেয়েছি, এসব কাজে যুক্ত হয়েছি।
এনটিভি অনলাইন : গানের তপুকে কি আবার অভিনয়ে দেখা যাবে কখনো?
তপু : এখন সে রকম কোনো ইচ্ছে বা পরিকল্পনা নেই। তবে ভবিষ্যতে কী হয়, বলা যায় না