নতুন হিসেবে আমার কাজের পরিমাণ একটু বেশি : কেয়া পায়েল
ক্যারিয়ার মাত্র তিন বছরের, তবে এ বছর সংখ্যা দিয়ে বিচার করা যাবে না ছোট পর্দার তরুণ অভিনেত্রী কেয়া পায়েলকে। এবারের ঈদে তাঁর অভিনীত ২৫টি নাটক প্রচার হয়েছে। ক্যারিয়ার হিসেবে নাটকের সংখ্যাটা যে একটু বেশিই, সেটা স্বীকার করছেন অভিনেত্রী নিজেও। এত কাজের পর ঈদ-পরবর্তী সময়ে এখন বিশ্রামে আছেন তিনি। এসব নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথার ঝাঁপি খুলেছেন কেয়া পায়েল।
ঈদ কেমন কাটল?
কেয়া পায়েল : ঈদ মানেই তো আসলে খুশি; সেটা যেখানে থাকি না কেন। ঈদ এবার বাসাতেই করেছি, কোথাও ঘুরতে যাইনি। তবে ঈদের পরদিন বন্ধুদের নিয়ে একটু ঘুরতে বের হয়েছিলাম। পরিবারকে সময় দেওয়া হয়েছে। ঈদে এবার যে কাজগুলো করেছি, সেগুলো দেখেছি।
এবারের ঈদে নাকি আপনার ২৫ নাটক এসেছে, নাটকের শীর্ষ নায়িকাদের তো পেছনে ফেলে দিলেন...
কেয়া পায়েল : না...না... পেছনে আর সামনে ফেলার কিছু নেই। যে যার জায়গায় ভালো করেছে, সবাই কমবেশি অনেক কাজই করেছে। নতুন হিসেবে হয়তো আমার কাজের পরিমাণটা একটু বেশি। কিন্তু কে আমার আগে আছে, কে পরে আছে, আমি সেগুলো চিন্তা করি না বা গুনি না। আমার যে কাজগুলো মনে হয়েছে ভালো, করা উচিত; আমার জায়গা থেকে আমি ওভাবে করেছি। আরও অনেক নায়িকা আছেন সিনিয়র, তাঁরা অনেক ভালো-ভালো কাজ করেছেন। আমি ২৫টা কাজ করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, দর্শকের ভালোবাসা-প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি, ভালো লাগছে।
নিজের কয়টা নাটক দেখেছেন আর অন্যদের কয়টা?
কেয়া পায়েল : আমার যে কাজগুলো অনলাইন বা টিভিতে এসেছে, সবগুলো দেখার চেষ্টা করেছি। আর আমার পাশে যারা কাজ করেছে, তাদেরটাও দেখছি। কারণ, তাদের থেকেও শেখার অনেক কিছু আছে। সবারটা দেখা সম্ভব নয়, কিন্তু চেষ্টা করছি দেখার।
ঈদের কোন কাজগুলোতে বেশি দর্শক-প্রতিক্রিয়া পেলেন?
কেয়া পায়েল : আমি তো বেশ কিছু ক্যারেকটারে কাজ করলাম। দর্শক আমাকে চঞ্চল-উৎফুল্ল, এমন চরিত্রে সব সময় দেখতে চায়। এই চরিত্র যে নাটকগুলোতে করেছি, সেগুলো দর্শক পছন্দ করেছে। এর বাইরে ‘আইসিইউ’ শিরোনামে একটি নাটকে কাজ করেছি, যেখানে আমার মুখ পুড়ে যায়। এ ধরনের কাজ প্রথম করলাম, দর্শক নতুন এক আমাকে দেখল। এ ছাড়া ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ নামে একটা কাজ করলাম, সেখানে আমি বোবা চরিত্রে কাজ করেছি। এ রকম বেশ কিছু কাজের জন্য দর্শকের প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি।
ঈদে তো অনেক কাজ করলেন; মান, সংখ্যা না কি ভিউ, কোথায় উন্নতি হয়েছে আপনার?
কেয়া পায়েল : এত ক্যালকুলেশন করে তো আমি কখনও কাজ করিনি। তবে যে জিনিসটা খেয়াল করি, সেটা মানসম্মত হতে হবে। তো ওই মানসম্মত কাজটা করার জন্য সব সময় ভালো কাজের চেষ্টাটা থাকে। সো আমি জানি না আমার কাজ কতটুকু মানসম্মত হচ্ছে, সেটা আমার কাজ যারা দেখে, তারা বলতে পারবে। হ্যাঁ, আমি চেষ্টা করি। তবে ক্যালকুলেশন করে বলতে পারব না কী উন্নতি হয়েছে।
আলাপচারিতার শেষ পর্যায়ে কেয়া পায়েল জানিয়েছেন, ঈদের পর বিশ্রাম নিচ্ছেন। আগামী মাস থেকে নতুন কাজ শুরু করবেন।