রাহার মধুর মিলন
অগ্রজ শিল্পীর সঙ্গে কাজ করে বাড়তি অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন নতুন শিল্পী। অবশ্য নবাগতর গুণ থাকলে তাঁর কাছ থেকেও শিখতে পারেন অগ্রজ। আর সেটে দুই অভিনয়শিল্পীর সম্পর্কের রসায়ন জমে উঠলে পর্দায়ও তার ঝলক দেখা যায়।
তেমন ঝলক রুপালি পর্দায় দর্শক দেখতে পাবেন বলে জানালেন দুই পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন ও মডেল-অভিনেত্রী রাহা তানহা খান। সম্প্রতি যুক্ত হয়েছেন সাঈফ চন্দন পরিচালিত ‘ওস্তাদ’ চলচ্চিত্রে। এই ছবিতে কাজ করতে গিয়ে কী কী অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছেন, তা এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন দুজন।
শুরুতেই মিলন বলেন, “আমরা সম্প্রতি ‘ওস্তাদ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করছি। সিনেমাটি করতে গিয়ে আমার কেমন লেগেছে, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমার কো-আর্টিস্ট, আমার নায়িকা তানহা, ওর কাছ থেকে জানা দরকার। জানতে পারলে হয়তো আরো কিছু সম্ভব হবে, আমার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তার কেমন লেগেছে।”
মিলনের প্রশ্নের উত্তর দেন রাহা। বলেন, ‘আসলে ভালোলাগাটা আমি নতুন করে বলব না যে... আপনার সাথে কাজ করতে গিয়ে আমার কেমন লেগেছে। ভালো সব সময় সবার লাগে। তবে আমার মনে হয়, কাজ করতে গিয়ে আপনার কাছ থেকে কতটা সহযোগিতা পেয়েছি বা আমি কতটা আনন্দিত, পুরোটাই দেখা যাবে পর্দায়। কারণ, আমাদের কেমিস্ট্রি (রসায়ন) আর ভাইয়ার (মিলন) সাপোর্ট, এগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আপনি আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। আর সে জন্য যেটা করতে হবে, আপনাদের (দর্শক) হলে এসে ছবিটি দেখতে হবে। যখন কাজটি সবাই দেখবেন, তখন সবাই বুঝতে পারবেন। আমি বললে সেটা কম বলা হয়ে যাবে—আপনার সঙ্গে কাজ করার আনন্দ, ভালোলাগা… তাই আপনাদের বলছি, আপনারা হলে এসে ছবিটি দেখবেন, তা হলেই বুঝতে পারবেন আমাদের কেমিস্ট্রি।’
এতক্ষণ মাইক্রোফোন হাতে ছিল মিলনের। বলছিলেন রাহা। এবার মিলনের হাত থেকে মাইক্রোফোনটা নিলেন। তারপর তাঁকে বললেন, ‘আপনার সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা তো বললাম... আমি আপনার মতো গুছিয়ে, এত সুন্দরভাবে বলতে পারি না। আপনি তো অনেক সুন্দর করে বলতে পারেন। আপনি বলুন, আমার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আপনার কেমন লেগেছে?’
পুরো সাক্ষাৎকার দেখুন :
মুখে হাসির ঝিলিক এনে মাইক্রোফোনটা হাতে নেন মিলন। বলেন, ‘আসলে রাহার মধ্যে একটা ফিল্মি টোন আছে, যেটা আমরা ফিল্মে খুঁজি সব সময়। আমরা বলি যে, শি ইজ লুক লাইক এ ফিল্ম আর্টিস্ট (দেখতে চলচ্চিত্র শিল্পীর মতো)। ফিল্মি ব্যাপারটা আমি রাহার মধ্যে পেয়েছি। কাজ করতে গিয়ে যেটা হয়েছে, ওর ডেডিকেশন (মনঃসংযোগ) আমাকে মুগ্ধ করেছে। যেমন—ও যখন কাজের মধ্যে ছিল, ক্রু মেম্বাররা যতটা না আমাদের নিয়ে তৎপর থাকবে, রাহা ছিল তার চেয়ে তৎপর। আমার ড্রেস কী হবে, আমার সিনে কী আছে, আমি মিলন ভাইয়ের সঙ্গে একটু রিহার্সেল করতে চাই... তারপর আমাদের কেমিস্ট্রিটা ঠিকমতো হচ্ছে কি না... আমরা যখন গানের শুট করি, তখন আমাদের এক্সপ্রেশন ঠিক আছে কি না... সবকিছু মিলিয়ে আই ফিল গ্রেট। কো-আর্টিস্ট হিসেবে সে দারুণ।’
মিলন যে সিনেমাই করেছেন তাতে চারিত্রিক ভিন্নতা ছিল। দর্শক জানেন, নিত্যনতুনরূপেই চলচ্চিত্রে হাজির হন মিলন। এবারও আশ্বস্ত করলেন, দর্শক ভিন্ন স্বাদ পাবেন ‘ওস্তাদ’ ছবি দেখে।
এবার মিলনকে রাহা বললেন, ‘আমি আগেই বলেছি, আপনি সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলেন। সেই সুযোগে আমি নিজের প্রশংসাগুলোও শুনে ফেললাম এবং সবাইকে শুনিয়ে দিলাম।’
রাহা-মিলনের অনুরোধ, তাঁদের রসায়ন দেখার জন্য দর্শক যেন প্রেক্ষাগৃহে হাজির হন। কারণ, দর্শক প্রেক্ষাগৃহমুখী না হলে বাঁচবে কী করে বিনোদনশিল্প?
ফিল্ম ওয়ার্ল্ডের ব্যানারে নির্মিত হচ্ছে ‘ওস্তাদ’। জসিম উদ্দিনের গল্পে ‘ওস্তাদ’ ছবির সংলাপ লিখেছেন ফেরারি ফরহাদ এবং চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন নির্মাতা সাইফ চন্দন নিজেই।