সালমান শাহ ও শাবনূর সেরা জুটি : ছটকু আহমেদ
কাজের প্রতি শ্রদ্ধা ও পরিশ্রম জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দেয় সালমান শাহকে। তাঁর অনেক ভালো গুণ ছিল। তিনি যেমন মানুষকে ভালোবাসতেন, তেমনি মানুষও তাঁকে ভালোবাসত। সালমানের ভালো গুণগুলো ভক্তদের ধারণ করার অনুরোধ গুণী নির্মাতা ছটকু আহমেদের।
আজ জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর ৪৯তম জন্মদিন। ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান। তাঁর ঠিক সাত দিনের মাথায় মুক্তি পায় ছটকু আহমেদ পরিচালিত সালমান শাহ অভিনীত চলচ্চিত্র ‘সত্যের মৃত্যু নেই’।
মৃত্যুর আগেই ছবিটি মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করা ছিল। গোটা কয়েক সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নিলেও মৃত্যুর পর শতাধিক সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তি পায়। মুক্তির পর দর্শক হুমড়ি খেয়ে পড়ে সিনেমা হলে। এ নিয়ে এনটিভি অনলাইনকে ছটকু আহমেদ বলেন, ‘এমন কোনো দর্শক নেই, যারা ছবিটি দেখে কাঁদেনি। ছবিতে সালমানের একটি ছবি দেওয়া হয়েছিল ফাঁসির দড়িসহ। সেটি বেশি আকৃষ্ট করেছে দর্শককে।’
ছবির শুটিংয়ের সময় নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে শট দিয়েছেন সালমান শাহ। ফাঁসির শুটিংয়ের সময় নিজেই হাত-পা বাঁধতে বলেন সালমান শাহ। এ নিয়ে নির্মাতার আপত্তি থাকলেও অভিনয়কে বাস্তবানুগ করতে ছাড় দেননি সালমান। ছটকু আহমেদ বলেন, ‘সালমান আমাকে বলছিল, স্যার আমি জানি কীভাবে ফাঁসি নিতে হয়। একটু রিস্ক না নিলে আমার ফিল আসবে না। আপনি চিন্তা করবেন না।’
মোট ২৭টি চলচ্চিত্র মুক্তি পায় সালমান শাহর। শেষ ছবিটি মুক্তি পায় তাঁর মৃত্যুর ঠিক এক বছর পর। ‘বুকের ভেতর আগুন’ শিরোনামে ছবিটিও নির্মাণ করেন ছটকু আহমেদ।
ছবির শুটিংয়ের সময় পুরান ঢাকায় সালমান শাহ ও শাবনূরকে নিয়ে কটূক্তি করে এক পথচারী। তাঁকে মেরে রক্তাক্ত করে দেয় সালমান। এলাকার প্রভাবশালীদের কাছে এ নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা না করায় সেদিন আর শুটিং হয়নি। এটি সালমান শাহর মৃত্যুর আগের সপ্তাহের ঘটনা। এর মধ্যে বিভিন্ন লোকেশনে ছবির অর্ধেক শুট শেষ হয়।
সালমান শাহর মৃত্যুর পর ছবিটি নিয়ে বিপাকে পড়েন ছটকু আহমেদ। ছবিটিতে অর্থলগ্নি করেছিলেন তাঁরই স্ত্রী। পরে ছবির বাকি অংশে অভিনয় করেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। এই ছবিতে কীভাবে যুক্ত হয়েছিলেন ফেরদৌস?
সালমান শাহর জন্মদিন কীভাবে পালন করা হতো। মৃত্যুর এত বছর পরও কেন এত জনপ্রিয় সালমান শাহ। এমন নানা বিষয় নিয়ে এনটিভি অনলাইনের বিশেষ সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়েছেন নির্মাতা ছটকু আহমেদ।
দেখুন ছটকু আহমেদের সাক্ষাৎকার :