দুই বছর পর ঈদের অনুষ্ঠানে গান গাইব : ন্যান্সি
সংগীতশিল্পী নাজমুন মনিরা ন্যান্সি টেলিভিশনে ঈদের অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করেননি গত দুই বছর। তবে আসছে ঈদে টেলিভিশনের পর্দায় তাঁকে সরাসরি গান গাইতে দেখা যাবে। দুই বছর বিরতি নেওয়ার কারণ ও অন্যান্য অনেক প্রসঙ্গ নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন ন্যান্সি।
এনটিভি অনলাইন : গেল দুই বছর টেলিভিশনে ঈদের অনুষ্ঠানমালায় আপনাকে দেখা যায়নি। এর পিছনে কী কোনো কারণ ছিল?
ন্যান্সি : ব্যক্তিগত কারণে করিনি। আমার শ্বশুড়বাড়ি ময়মনসিংহ। সাধারণত সেখানে আমি ঈদ করি। টিভিতে ঈদের অনুষ্ঠানে সরাসরি গান গাইলে পরিবারকে সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। পরিবার ও আমার সন্তানদের সময় দিয়েছি। এ ছাড়া আমি শুনেছিলাম অনেকে আমার ঈদের গানের অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। কেউ কেউ বলেছেন আমি নাকি একই গান টেভিতে বার বার গাই। সমালোচনা মাঝে মাঝে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। আসলে দর্শক-শ্রোতাদের অনুরোধের গানগুলোই সরাসরি অনুষ্ঠানে বেশি গাওয়া হয়।
যা হোক টিভিতে দুই বছর পর ঈদের অনুষ্ঠানে সরাসরি গান গাইব। ঈদের দ্বিতীয় দিন একুশে টেলিভিশনে রাতে ও ঈদের চতুর্থ দিন রাতে এশিয়ান টেলিভিশনে গান গাওয়ার কথা রয়েছে। আপতত অন্য কোথাও গান করার কথা চূড়ান্ত হয়নি।
এনটিভি অনলাইন : চলতি মাসে নতুন কোনো গান রেকর্ড করার সম্ভাবনা আছে কী?
ন্যান্সি : আপতত কোনো পরিকল্পনা নেই। ঈদের পর নতুন গান ও অ্যালবাম বের করার প্রস্তুতি নিব।
এনটিভি অনলাইন : আপনি তো মাসব্যাপী দুটো মসজিদে ইফতার দিচ্ছেন। কেমন লাগছে?
ন্যান্সি : অনেকদিনের একটা ইচ্ছা আমার পূরণ হয়েছে। আমার বাবার বাড়ি নেত্রকোনায়। সেখানে অসহায় অনেক মানুষকে আমি ইফতার করিয়েছি। তবে এবারই প্রথম মাসব্যাপী ইফতার করানোর কথা ভাবি। ঢাকায় আগারগাঁয়ের তালতলায় আমার বাসা। বাসার কাছের দুই মসজিদে নিয়মিত ইফতার দিচ্ছি আমি। প্রায় প্রতিদিন ২০০ মানুষ সেখানে ইফতার করছেন। প্রথমদিন খুব কম মানুষ এসেছিলেন। খবরটা প্রচারের পর ধীরে ধীরে অনেক মানুষ আসছে।
এনটিভি অনলাইন : ইফতারে আপনার পছন্দের খাবার কী?
ন্যান্সি : মধবিত্তরা ইফতারে যা খেতে পছন্দ করে, আমিও তাই করি। অন্য অনেক খাবার থাকলেও ছোলা, ডালের বড়া ও মুড়ি আমার বেশি পছন্দ। বাসার সবার জন্য আমি নিজেই ইফতার তৈরি করি।
এনটিভি অনলাইন : ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা কী করেছেন?
ন্যান্সি : পাঁচ রোজার মধ্যে সব কেনাকাটা শেষ করেছি। কারণ পরে অনেক ভিড় হয়। সব আত্মীয়র জন্য আমি যেমন উপহার কিনেছি তেমনি আমিও অনেক উপহার পেয়েছি।