‘রোজায় শুটিং করে শান্তি রয়েছে’
ঈদের নাটক নিয়ে ব্যস্ত ঢাকার উত্তরার শুটিং স্পটগুলো। শিল্পীরাও ব্যস্ত নাটক, টেলিছবি নিয়ে। ঈদে সাতটি চ্যানেলের জন্য ১০টি ধারাবাহিক এবং একক নাটক নির্মাণ করছেন অভিনেতা পরিচালক শামিম জামান। রোজা রেখেই চলছে নাটকের শুটিং। তিনি জানান, রোজায় শুটিং করে একটা শান্তি রয়েছে। রোজায় শুটিংয়ের সময় বাঁচে।’
গতকাল বিকেল ৪টা, উত্তরার একটি শুটিং হাউজে চলছে ঈদের নাটকের শুটিং। ক্যামেরাম্যান ও অ্যাসিসটেন্ড ডিরেক্টর শট রেডি করছেন। আর পরিচালক শামিম জামান মেকাপ রুমে সোফায় শুয়ে রয়েছে। রোজার শুটিং কেমন চলছে, জানতে চাইলে এনটিভি অনলাইনকে শামিম জামান বলেন, ‘রোজায় শুটিং করে একটা শান্তি রয়েছে। শিল্পীরা ধূমপান করার জন্য বার বার শুটিং ছেড়ে বাইরে যান না। খাবারের কোনো ঝামেলা নেই। সব মিলেয়ে শুটিং করার জন্য অনেক সময় পাওয়া যায়। তবে মেজাজটা একটু খিটখিটে থাকে। এরই মধ্যে আমি দুজনকে ধমক দিয়েছি। তখন মনে হলো হয়তো একটু মাথা ধরেছে, একটু বিশ্রাম করি। তাই ক্যামেরাম্যান ও অ্যাসিস্ট্যান্টদের বলেছি লাইট রেডি করে আমাকে ডাকতে।
স্পট ঘুরে দেখা গেল শুটিংয়ের জন্য তিনটি ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে সাধারণত শুটিংয়ে একটি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। এর কারণ কী, জানতে চাইলে শামিম জামান বলেন, ‘আমি সব সময়ই তিন ক্যামেরায় শুটিং করি। এতে অভিনয়টা ভালো হয়। যেমন একজন শিল্পী তার ডায়লগ বলল, প্রতি উত্তরে আরেকজন ডায়লগ দিল। আমরা সব সময় কেটে কেটে শট নিই, তখন আর রিদমটা ঠিক থাকে না। তবে তিন ক্যামেরা একসঙ্গে শট নিলে সবার অভিনয়টা অনেক বেশি প্রাণবন্ত মনে হয়। অভিনয়টা ভালো লাগে দেখতে। কিছুটা সময়ও বেঁচে যায়। খরচ একটু বেশি হয়, তবে দর্শক দেখে মজা পায়।’
আপনার মতো আরো অভিনেতা রয়েছেন, যাঁরা অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা করছেন এবং পুরো নাটকে নিজেই অভিনয় করছেন। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে শামিম জামান বলেন, ‘আসলে আমি যে নাটকের পরিচালক, সেই নাটকটি আমার সন্তান। এ কারণে আমার প্রথম দায়িত্ব নাটকটি ভালোভাবে শেষ করা। সবার কাছ থেকে কাজগুলো আদায় করে নেওয়া। এ কারণে নিজের পরিচালিত নাটকের ছোট চরিত্র অভিনয় করতে চেষ্টা করি। নিজের ওপর পুরো গল্প থাকলে সেটি পরিচালনা করা সম্ভব নয়’।
ঈদে কয়টি নাটক করছেন জানতে চাইলে শামীম বলেন, ‘আমি মোট সাতটি টিভি চ্যানেলের জন্য মোট ১০টি নাটক নির্মাণ করছি। এর মধ্যে ছয়টি সাতদিনের ধারাবাহিক। রোজাজুড়েই চলবে নাটকগুলোর শুটিং। আশা করি, সব নাটকই দর্শক পছন্দ করবেন। তবে একটু খারাপও লাগছে কারণ, এ বছর বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ইফতার আর করা হবে না।’