তারকার প্রথম
‘পাড়ার এক ভাইয়ার প্রতি ক্রাশ খেয়েছিলাম’
‘হিটম্যান’, ‘ক্ষণিকের ভালোবাসা’, ‘মিয়া বিবি রাজি’, ‘মন জানে না মনের ঠিকানা’ ছবিতে অভিনয় করেছেন এ প্রজন্মের চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তাঁর আরো বেশ কিছু ছবি। সম্প্রতি এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া প্রথম অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন শিলা।
প্রথম স্কুল : ঢাকার ডেমরার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়েছি।
প্রথম শিক্ষক : মনির স্যার। আমাদের বাসার হোম টিউটর ছিলেন তিনি। স্টুডেন্ট হিসেবে আমি অনেক ভালো ছিলাম। আবার দুষ্টুও ছিলাম অনেক। স্কুলে দুষ্টুমি করার জন্য অনেক মারও খেয়েছি। আবার শিক্ষকদের ভালোবাসাও পেয়েছি অনেক।
প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র : ‘হিটম্যান’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন ওয়াজেদ আলী সুমন ভাইয়া। ২০১৪ সালে ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল।
প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা : ছবির প্রথম শুটিংয়ে একদম নার্ভাস ছিলাম না। কারণ, এর আগেও আমি বহুবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম, তবে সেটা নাচের জন্য। মঞ্চ ও টিভি নাটকেও অভিনয় করেছি। তাই ছবির শুটিংয়ের সময় খুব স্বাভাবিক ছিলাম। শুধু পার্থক্য ছিল অনেক বড় আয়োজন ছিল শুটিংয়ের। আশপাশের সবাই বলেছিল, ‘নায়িকা! নায়িকা!’ এই শব্দ আমার জন্য নতুন ছিল। অন্য রকম অনুভূতি তৈরি হয়েছিল আমার মধ্যে।
প্রথম পারিশ্রমিক : ছোটবেলায় একটা নাচের অনুষ্ঠান করে প্রথম পারিশ্রমিক পেয়েছিলাম। এক হাজার টাকা পেয়েছিলাম। তখন আমি ক্লাস ফোরে পড়ি। টাকাটা আম্মুকে দিয়েছিলাম।
প্রথম প্রেম : স্কুলে থাকতে প্রথম প্রেমে পড়েছিলাম। তখন আমি ক্লাস সেভেনে পড়ি। আমার পাড়ার এক ভাইয়ার প্রতি ক্রাশ খেয়েছিলাম। এটা প্রেম কি না জানি না। আমি স্কুলে যাওয়ার সময় তিনি আমাকে দেখে মুচকি মুচকি হাসতেন। আমাকে একদিন হঠাৎ করেই প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সেই ভাইয়া। তাঁকে কিছু বলিনি তখন, কিন্তু আমারও তাঁকে ভালো লাগত (হাসি)।
প্রথম পরা শাড়ি : একটা নাচের অনুষ্ঠানের জন্য প্রথম শাড়ি পরেছিলাম। দেশের গানের সঙ্গে নেচেছিলাম। শাড়ির রং ছিল লাল-সবুজ। এটা দলীয় নৃত্য ছিল।
প্রথম পড়া গল্পের বই : অনেক গল্পের বই পড়েছি। কিন্তু প্রথম কোন বইটা পড়েছি, সেটা এখন মনে নেই। মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’নাটকটি আমার অনেক পছন্দের ছিল। বহুবার পড়েছি।