‘বায়োগ্রাফি অব নজরুল’ বড় পর্দায় দেখাতে চাই : ফেরদৌস
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনীভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করছেন ফেরদৌস খান। এর নাম তিনি দিয়েছেন ‘বায়োগ্রাফি অব নজরুল’। সম্প্রতি এনটিভি অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রামাণ্যচিত্র বানানোর অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য অনেক বিষয়ে কথা বলেছেন ফেরদৌস খান।
এনটিভি অনলাইন : ‘বায়োগ্রাফি অব নজরুল’ প্রামাণ্যচিত্রে নজরুলের কোন বিষয়গুলো আপনি গুরুত্ব দিচ্ছেন?
ফেরদৌস খান : দেখুন, নজরুলকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র এর আগেও অনেক হয়েছে। আমি চাচ্ছি, নতুন এই প্রামাণ্যচিত্রে তাঁর পুরো জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরতে। নজরুলের বেড়ে ওঠা থেকে শুরু করে তাঁর জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতসহ সবকিছুই থাকবে এতে। ৯০ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র হবে এটি। সময়ের এই টার্গেট করেই শুটিং করছি আমরা।
এনটিভি অনলাইন : শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন হচ্ছে?
ফেরদৌস খান : ৬০ ভাগের মতো শুটিং আমরা করেছি। অক্টোবরের শুরুতে ময়মনসিংহের ত্রিশালে আমরা শুটিং করেছি। এখানে কবির কৈশোরের অনেক স্মৃতি রয়েছে। এটা আমরা ক্যামেরায় ভালোভাবে তুলে আনার চেষ্টা করেছি।
এনটিভি অনলাইন : ত্রিশাল ছাড়া আর কোথায় আপনারা শুটিং করেছেন?
ফেরদৌস খান : ঢাকার নজরুল ইনস্টিটিউটে, মানিকগঞ্জে, চুয়াডাঙ্গায়, ফরিদপুরে, কুমিল্লার দৌলতপুরসহ অনেক জায়গায় আমরা শুটিং করেছি। আরো শুটিং বাকি আছে। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে কলকাতায় আমরা যাচ্ছি। সেখানে বর্ধমান জেলার কবির চুরুলিয়া গ্রামে শুটিং করব আমরা। সব প্রস্তুতি আমাদের নেওয়া শেষ।
‘বায়োগ্রাফি অব নজরুল’-এর শুটিংয়ের সময় নির্মাতা। ছবি : সংগৃহীত
এনটিভি অনলাইন : প্রামাণ্যচিত্রটি বানাতে আগ্রহী কেন হলেন?
ফেরদৌস খান : লেখালেখির সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত অনেক আগে থেকেই। ১০টির বেশি বই বিভিন্ন বিষয়ে আমি লিখেছি। এর মধ্যে শিশু-কিশোরদের জন্য ‘ছোটদের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম’ নামে একটি বই লিখেছি। বইটি লেখার পর অনেক বেশি সাড়া পেয়েছিলাম। বইটির অনেক সংস্করণ বের হয়েছে। নজরুল ইনস্টিটিউটেও বিভিন্ন বিষয়ে আমি কাজ করেছি। সব মিলিয়ে আমি দেখলাম, নজরুলকে নিয়ে মানুষের আগ্রহ অনেক বেশি। তাই সবার প্রিয় এই কবিকে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি প্রামাণ্যচিত্র বানানোর চিন্তা আমি করি।
এনটিভি অনলাইন : শেষ প্রশ্ন। প্রামাণ্যচিত্রটি কবে মুক্তি পাবে?
ফেরদৌস খান : সামনের বছর নজরুলের জন্মজয়ন্তীতে এটি মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। ‘বায়োগ্রাফি অব নজরুল’ বড় পর্দায় দেখাতে চাই। আন্তরিকভাবে সেই চেষ্টা আমি করছি। প্রামাণ্যচিত্রে ইংরেজিতে সাবটাইল আমরা রাখব। বিদেশেও আমরা এর প্রদর্শন করতে চাই। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় এর প্রদর্শন করার প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। আয়োজকদের সঙ্গে কথাবার্তাও চূড়ান্ত।