বাস্তবে আমি অনেক দুষ্টু : মম
জাকিয়া বারী মম এ প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ২০০৬ সালে ‘দারুচিনি দ্বীপ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন গুণী এই তারকা। দীর্ঘ আট বছর বিরতির পর ২০১৪ সালে মুক্তি পায় মম অভিনীত ‘প্রেম করব তোমার সাথে’ ছবিটি। বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় আছে তাঁর নতুন ছবি ‘ছুঁয়ে দিলে মন’। নতুন ছবি নিয়ে প্রত্যাশা, ভবিষ্যৎ কাজের পরিকল্পনা এবং ব্যক্তিগত অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি এনটিভির সঙ্গে।
‘ছুঁয়ে দিলে মন’ ছবির প্রস্তাব কীভাবে পেয়েছিলেন?
শিহাব শাহীন পরিচালিত কয়েকটি নাটকে আমি অভিনয় করেছিলাম। নাটকের শুটিংয়ে শুনতাম ছবিটির গল্প, চিত্রনাট্যের পরিকল্পনা। শিল্পীরা গান কীভাবে গাইবে এই আলোচনাও শুনেছি। কিন্তু তখনো আমি জানতাম না ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ ছবিতে আমি অভিনয় করছি। তবে এটা শুনেছিলাম আরিফিন শুভ ছবিতে কাজ করবে। একদিন হাতিরঝিলে সজলের সঙ্গে আমি একটি নাটকের শুটিং করছিলাম। শুটিংয়ের ফাঁকে হঠাৎ শিহাব শাহীন ফোন করলেন। ফোনে তিনি বললেন, ‘তুমি কোথায়? আমি বললাম শুটিংয়ে। তারপর তিনি বললেন কাজ শেষ করে বনানী একটি রেস্টুরেন্টে চলে আসো, আমরা ফিল্ম নিয়ে একটু কথা বলব। শুভ আমার সঙ্গে আছে। আমি বললাম, আমি কেন? তখন তিনি বললেন ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ ছবির নায়িকা হতে যাচ্ছ তুমি। আমরা পুরোপুরি সিদ্ধান্ত নিয়ে তোমাকে জানাচ্ছি। এটা জানার পর সত্যি আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।
‘ছুঁয়ে দিলে মন’ ছবিটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী রকম?
শিহাব শাহীন একজন গুণী পরিচালক। তাঁর পরিচালনায় আমার বেশ কয়েকটি ভালো কাজ রয়েছে- ‘ভালোবাসার চতুষ্কোন’, ‘নীল প্রজাপতি’ ও ‘নীলপরী নীলাঞ্জনা’। এই নাটকগুলো দর্শক ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। তাই ছবিটি নিয়েও প্রত্যাশা অনেক বেশি। আশা করছি ছবিটি দেখে দর্শকদের মন ছুঁয়ে যাবে। আসছে ১০ এপ্রিল ছবিটি প্রেক্ষাগ্রহে মুক্তি পাবে।
১০ বছর পর আপনি নিজেকে কোন অবস্থানে দেখতে চান?
অনেক সফল হতে চাই। অভিনয়ের পাশাপাশি শিক্ষকতাও করতে চাই। বর্তমানে আমি এমফিল করছি। পিএইচডি করার ইচ্ছেও আছে। আমার মা একজন অধ্যাপক। আমার ছোট ভাইও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে। আমার মামা এবং দাদাও শিক্ষক ছিলেন। তাই ছোটবেলা থেকেই এই পেশার প্রতি আমার মুগ্ধতা ছিল। আমি মনে করি এটা আমার জন্য উপযুক্তও বটে।
কখনো পরিচালনা করার ইচ্ছে আছে?
এখন পর্যন্ত আমার এ ধরনের মানসিকতা তৈরি হয়নি। আমি ‘পারফর্ম’ করতেই অনেক বেশি পছন্দ করি।
ক্যামেরার সামনে আপনি সব সময় মিষ্টি মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। বাস্তবেও কি তাই?
মোটেও না। বাস্তবে আমি অনেক দুষ্টু। তবে ছোটবেলায় আমি অনেক শান্ত ছিলাম।
কখনো ডন চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেলে কী করবেন?
আমি যে কোনো চ্যালেঞ্জ নিতে চাই। যে কোনো চরিত্রে আমি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারব।
ফেসবুকিং করার সময় পান?
কাজের সময় আমি একদম ফেসবুকিং করি না। কারণ আমি যখন যে কাজটা করি, তখন সেই কাজটার মধ্যেই ডুবে থাকি। যেদিন আমার শুটিং থাকে না, সেই দিন আমি একটু বেশি সময় ফেসবুকিং করি। এ ছাড়া মাঝে মাঝে রাতে ফেসবুক ওয়াল চেক করি।
শুটিংয়ের অবসরে আপনি কী করেন?
গ্রিনরুমে বসে সবার সঙ্গে কথা বলি। আর চিত্রনাট্যও পড়া হয়।
প্রিয় সহকর্মী?
সজল, আনিসুর রহমান মিলন, অপূর্ব ও মোশাররফ করিম।
আপনার স্বপ্নের নায়ক কে?
শাহরুখ খান। ইস! শাহরুখ খান কখনো যদি আমাকে বলত ‘মম আমি তোমার সঙ্গে অভিনয় করব!’ তাহলে খুব খুশি হতাম!