লিজা গান জানেন, ব্যাডমিন্টনও খেলেন
ক্লোজআপ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন শুধু নন, ব্যাডমিন্টন খেলায়ও জাতীয় পর্যায়ে তাঁর অবস্থান অষ্টম স্থানে। ছবি আঁকেন, লেখাপড়ায়ও মেধাবী, এমবিএ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কথা হচ্ছিল সংগীতশিল্পী লিজাকে নিয়ে।
পয়লা বৈশাখে বেরোচ্ছে লিজার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম। নতুন অ্যালবামের গানের কাজ এবং টেলিভিশনে উপস্থাপনা করে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। বর্তমান ব্যস্ততা এবং ব্যক্তিগত অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি এনটিভির সঙ্গে। সেসব কথার চুম্বক অংশ দেওয়া হলো এখানে।
আপনার দ্বিতীয় অ্যালবামে নতুন কী থাকবে?
আমার প্রথম অ্যালবাম ‘লিজা পার্ট ওয়ান’-এর সব গানের সংগীত পরিচালক ছিলেন তৌসিফ। কিন্তু আমার দ্বিতীয় অ্যালবামে অনেকেই সংগীত পরিচালনা করছেন। তাই ভিন্নতা একটু বেশিই থাকবে।
দ্বিতীয় অ্যালবামের গানগুলো কারা লিখেছেন এবং সুর করেছেন?
গানগুলো অনেকেই লিখেছেন। রবিউল ইসলাম জীবন, জাহিদ আকবর ও তুষার গান লিখেছেন। আর সুর করেছেন শফিক তুহিন, আরেফিন রুমী, বেলাল খান, জুয়েল মোর্শেদ ও মুহিন।
নতুন অ্যালবামের জন্য প্রস্তুতি কেমন?
এখনকার অ্যালবামগুলোতে অনেক শিল্পী নিজেরাই বিনিয়োগ করছেন। আমিও তাই করছি। আর প্রস্তুতিও ভালোভাবে নিচ্ছি। আমি নিয়মিত গান চর্চা করি এবং শিখি। মোটকথা, গানের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে এবং একটু বেছে বেছে কাজ করলে অনেক ভালো কিছু হবে। আমিও সেভাবে নিজেকে তৈরি করছি। আসলে শেখার তো কোনো শেষ নেই। অভিজ্ঞতা যত বেশি হবে, আমার কাজও তত ভালো হবে।
টিভি লাইভ অথবা স্টেজ শো—কোনটা করতে বেশি ভালো লাগে?
আমি স্টেজ শো এবং টিভি শো নিয়মিত করছি। আমার মনে হয়, স্টেজ শোতে দর্শকের খুব কাছাকাছি পৌঁছানো যায় এবং ইচ্ছামতো গানও করা যায়। কিন্তু টিভি লাইভে এই সুযোগ কম থাকে। তাই স্টেজ শো আমি বেশি উপভোগ করি।
পেশা হিসেবে কি গান বেছে নেবেন?
না, এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। তবে আমার সরকারি চাকরির প্রতি ঝোঁক আছে। প্রশাসনে কাজ করতেই আমার বেশি আগ্রহ। তা ছাড়া আমার বাবা সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। আমিও বাবার মতো সরকারি চাকরি করে দেশের সেবা করতে চাই। আর গান পুরোপুরি আমার ভালোবাসা থেকে করছি। খুব কম গান করতে চাই, তবে সেটা যেন ভালো হয়। আমি যত দিন বেঁচে থাকব, ঠিক তত দিন গান গাইব। দেখা যাক, ভবিষ্যতে কী হয়!
মন খারাপ হলে কী গান শোনা হয়?
রুনা লায়লা ম্যামের গাওয়া গান ‘চঞ্চলা হওয়া রে’ আমার অনেক প্রিয়। মন খারাপ হলে এই গান শুনি।
আপনার মন কখন খারাপ হয়?
যখন ভালোভাবে গান করতে পারি না।
উপস্থাপনা কেমন চলছে?
বর্তমানে আমি চারটি চ্যানেলে সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছি। ভালোই লাগছে। কারণ, আমার অনুষ্ঠানে গানের সব মানুষ আমন্ত্রিত হন। তাই এটা আমি অনেক উপভোগ করি। তবে সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠান ছাড়া আপাতত উপস্থাপনা করার ইচ্ছা নেই। কারণ, সংগীতটাই আমি একটু বুঝি।
ফেসবুকিং করা হয়?
আমি বাইরে থাকলে একদম ফেসবুকিং করি না। বাসায় যখন থাকি, তখন করি।
ব্যাডমিন্টন খেলা কেমন চলছে?
ব্যাডমিন্টনে আমি জাতীয় পর্যায়ে খেলছি। নিয়মিত অনুশীলনও করছি। জাতীয় পর্যায়ে আমার র্যাংঙ্কিং এখন ৮। ২০০৩ সালে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় আমি দ্বিতীয় হয়েছিলাম।