নৃত্যগুরু সি ভি চন্দ্রশেখরের ‘কনক মঞ্জুরী’
বিশ্বনন্দিত ভরতনাট্যম নৃত্যগুরু সি ভি চন্দ্রশেখর এখন বাংলাদেশে। তিনি এসেছেন নৃত্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘নৃত্যনন্দন’-এর আমন্ত্রণে। তিনি একাধারে কম্পোজার, কোরিওগ্রাফার, নৃত্যশিল্পী, মিউজিশিয়ান এমনকি শিক্ষকতাও করেছেন বহু বছর। গুরু রুকমিনি দেবীর কলাক্ষেত্রতে প্রবেশের মধ্য দিয়েই তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল সঙ্গীতে আর নৃত্যে।
আজ শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ভরতনাট্যম পরিবেশন করবেন তিনি। এ প্রযোজনার শিরোনাম ‘কনক মঞ্জরী’। তাঁর সঙ্গে থাকছেন এ কদিন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করা নৃত্যশিল্পীরা। চার প্রজন্মের নৃত্যশিল্পীরা আজ একই সঙ্গে একমঞ্চে পরিবেশন করবেন নৃত্যশৈলী।
কর্মশালা আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল রেসিডেনশিয়াল ওয়ার্কশপের মধ্য দিয়ে। গুরু চন্দ্রশেখর এবং নৃত্যনন্দনের প্রধান শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ২৭ জানুয়ারি থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকার গাজীপুরে কর্মশালার জন্য ছুটে গিয়েছিলেন। নৃত্য আর নৃত্যচর্চার মধ্য দিয়ে গুরু-প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ভাবের আদান-প্রদানই এ আয়োজনের লক্ষ্য।
গত ২৯ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্য বিভাগের মহড়া কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছিল কর্মশালা। এ কর্মশালায় সহযোগিতা করেছেন কলকাতার সুপ্রতিষ্ঠিত নৃত্যশিল্পী শ্রী রাজদীপ ব্যানার্জি। গতকাল শুক্রবার ছিল কর্মশালার শেষ দিন। ৫০ জন নৃত্যশিল্পীসহ নৃত্যগুরু সি ভি চন্দ্রশেখর ‘কনক মঞ্জুরী’ উপস্থাপন করবেন আজকের সন্ধ্যায়। অনুষ্ঠানটির আয়োজক বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। কর্মশালাটির নামকরণ করা হয়েছিল ‘পরম্পরা’।
কর্মশালা আর এ আয়োজন সম্পর্কে গুরুজি বলেন, ‘এখন মনে হয় ভরতনাট্যম বাংলাদেশে অনেক দূর এগিয়েছে, কারণ এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের যোগাযোগ তো বাড়ছে, এগুলোর প্রভাব পড়ছে।
শিল্পীরা বাইরে থেকে আসছেন, অনেকে এখান থেকে বাইরে পড়তে যাচ্ছেন। ‘কনক মঞ্জুরী’ শিরোনামটি ভালো লেগেছে। আমার এক মেয়ের নাম মঞ্জুরী। কনক মঞ্জুরী মানে সোনালি মঞ্জুরী। এটা দারুণ এক চিন্তা, শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, বেশ ভালো।’