ক্যাপ্টেন প্ল্যানেটের প্রেমে পড়েছিলাম : স্বাগতা
এ প্রজন্মের তারকা স্বাগতা। একাধারে তিনি অভিনয়শিল্পী, সংগীতশিল্পী এবং উপস্থাপক। সম্প্রতি এই তারকা নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি উচ্চাঙ্গসংগীত অনুশীলন করছেন। বর্তমান কাজের ব্যস্ততা এবং ব্যক্তিগত অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন এনটিভির সঙ্গে।
সংগীত চর্চা কেমন চলছে?
‘মহাকাল’ ব্যান্ডটি আর নেই। আপাতত নতুন করে ব্যান্ড করার কথা ভাবছি না। এখন বাসায় উচ্চাঙ্গসংগীত ও নজরুলসংগীত নিয়মিত অনুশীলন করছি। উচ্চাঙ্গসংগীত আমার অনেক পছন্দ।
ভবিষ্যতে কি উচ্চাঙ্গসংগীতের অ্যালবাম করবেন?
না, অ্যালবাম বের করার একদম ইচ্ছা নেই। আমি অনুশীলন করছি, এটাই যথেষ্ট। আমার আত্মতৃপ্তি এখানেই, আমি গান শিখেছি আর নিয়মিত অনুশীলন করছি।
নিজের কোন ‘পরিচয়’ ভালো লাগে?
‘পারফর্মার’। আমার মনে হয়, আমি জন্মগ্রহণ করেছি ‘পারফর্ম’ করার জন্য। আমি নিজেকে আলাদা করে বলতে পারব না আমি সংগীতশিল্পী, অভিনেত্রী অথবা উপস্থাপক। আমি মাত্র তিন বছর বয়সে টিভিতে গান করেছি এবং চারটি ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি নিজেই অবাক, কারণ আমার কোনো ভিত্তি ছিল না। চলচ্চিত্রে যখন আমি অভিনয় করেছি, তখন কীভাবে নাচতে হয় তা আমি জানতাম না। তাই নিজেকে আমি বলব ‘পারফর্মার’। যেকোনো কিছু পারফর্ম করতে আমি স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করি।
স্বাগতার লাইমলাইটে আসার গল্প...
আমি প্রথম লাইমলাইটে আসি ‘ইউ গট দ্য লুক-২০০৫’ সুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। তার পর মহাকাল ব্যান্ড থেকে বেরোয় আমার প্রথম গানের অ্যালবাম ‘স্বপ্নচূড়া’। এর মধ্য দিয়ে সংগীতশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে। আমার অভিনীত প্রখম ছবি ‘শত্রু শত্রু খেলা’ মুক্তির পর চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে আলোচনায় আসি। আমি প্রথম উপস্থাপনা করি ‘সিনে বিট সাদা-কালো’ অনুষ্ঠানটি। তাই আলাদা করে আমি আমার সাফল্যের কথা বলতে পারব না। যখন যেটা করেছি, দর্শক সেটা ভালোভাবে গ্রহণ করেছে।
আপনার অভিনীত প্রথম নাটক কী ছিল?
আবদুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত নাটক ‘এক জনমে’ ছিল আমার অভিনীত প্রথম নাটক। আমার অভিনীত চারটি ধারাবাহিক নাটক এখন প্রচারিত হচ্ছে। ধারাবাহিক নাটকের চরিত্রে উত্থান-পতন রয়েছে। এটা অনেক উপভোগ করি। তবে বেশি ভালো লাগে এক খণ্ডের নাটক। কারণ, এখানে একটি সম্পূর্ণ গল্প থাকে।
ভক্তদের ভালোবাসা কেমন লাগে?
সামনাসামনি কেউ প্রশংসা করলে লজ্জায় পড়ে যাই। তবে কেউ লিখে নিজের অভিব্যক্তি জানালে বেশি ভালো লাগে।
পরিবারে সঙ্গীতচর্চা...
নিজের কাজের থেকে আমার ভাইবোন সন্ধি ও সভ্যতার কাজ আমার বেশি ভালো লাগে। এটা একটা অদ্ভুত অনুভূতি। আমি নিজের কাজের প্রচার খুব একটা করি না। কিন্তু ওদের কাজের প্রচার করতে আমার বেশি ভালো লাগে।
শুটিংয়ের অবসরে কী করেন?
প্রচুর বই পড়ি। সবার সঙ্গে গল্প করি। আর গানও শোনা হয়।
খারাপ অভিজ্ঞতা
আমি একবার ফেনীতে একটি দোকানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। পথে আমার গাড়ি ট্রাকের নিচে ঢুকে যায়। গাড়ির সামনের অংশের অনেক ক্ষতি হয়েছিল। ভুলটা আমাদের গাড়িচালকের ছিল। তিনি ওভারটেক করেছিলেন। তার পর রাস্তার মানুষ আমাকে অনেকে কিছু শোনালেন। তাঁরা আমাদের পুলিশে দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছিলেন। আমি চুপচাপ সবার সব কথা শুনেছি। তার পর আমাকে যাঁরা নিমন্ত্রণ করেছিলেন, তাঁরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। তার পর অনুষ্ঠান শেষ করে একটা ট্রাক ভাড়া করি। আমার গাড়ি বাঁধি ওই ট্রাকের সঙ্গে। এর পর আমরা ঢাকায় পৌঁছাই।
প্রথম কার প্রেমে পড়েছিলেন?
ছোটবেলায় দেখতাম, আমার বন্ধুরা চলচ্চিত্র নায়কদের প্রেমে পড়ত। আর আমার বিষয়টি ছিল ভিন্ন। আমি প্রচুর কার্টুন ছবি দেখতাম। কার্টুন চরিত্র ক্যাপ্টেন প্ল্যানেটের প্রেমে পড়েছিলাম।
ভবিষ্যতে কী করতে চান?
ভালো কাজ করে যেতে চাই। আমি চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াশোনা করেছি। তাই
ভবিষ্যতে ছবি বানানোর ইচ্ছা আছে। প্রাথমিক প্রস্তুতিও নিচ্ছি।