দেশটাকে অনেক মিস করি : মিলা হোসেন
মিলা হোসেন। অনেকের পরিচিত প্রিয় মুখ। ২০০০ সালে লাক্স-আনন্দধারা মিস ফটোজেনিক হয়েছিলেন মিলা। এরপর একের পর এক বিজ্ঞাপন করে খুব দ্রুত পরিচিতি পেয়েছিলেন মডেলিংয়ের জগতে। পাশাপাশি অভিনেত্রী হিসেবেও নজর কেড়েছিলেন। মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে যখন তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে, ঠিক তখনই ২০০২ সালে পাড়ি জমালেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেই থেকে আজ ১২টি বছর পেরিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রেই এখন স্থায়ী আবাস। মিলার স্বামী ব্যবসায়ী ও নাট্য প্রযোজক জাকারিয়া মাসুদ জিকো, আর একমাত্র ছেলে ঈশা আদিল। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলা পত্রিকা ‘আজকাল’-এ দীর্ঘদিন কাজ করেছিলেন মিলা। বর্তমানে সেখানকার জনপ্রিয় ‘কালার’ পত্রিকায় ম্যানেজিং এডিটর হিসেবে কাজ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিত মডেলিংও করা হয় তাঁর। প্রতিবছরে একবার ঢাকায় আসেন মিলা। গত বছর ডিসেম্বরের শেষের দিকে ঢাকায় এসে আগামী ঈদ উপলক্ষে কৌশিক শংকর দাশ ও নুজহাত আলভী আহমেদের পরিচালনায় দুটি নাটকে কাজ করেছেন। প্রবাসযাপন, আপন ভুবন আর কাজ নিয়ে কথা বলেছেন এনটিভি অনলাইনের সাথে।
প্রশ্ন : কেমন আছেন?
উত্তর : ভালো আছি। তবে নববর্ষে দেশে যে অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো ঘটেছে, এ জন্য অনেক মন খারাপ আমার। এ রকম আগে কখনো হতে দেখিনি। দেশের মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। প্রবাসীরা মিলে আমরা এই ঘটনার ওপর একটা সংবাদ সম্মেলনও করেছি।
প্রশ্ন : আপনার নববর্ষ কেমন কাটল?
উত্তর : ভালো কেটেছে। পরিবারের সবাই মিলে ঘুরেছি। আমার বাসা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে মোনালিসার বাসা। গাড়ি চালিয়ে আসতে এক ঘণ্টা লাগে। নববর্ষে ও এসেছিল। আমরা শাড়ি পরেছিলাম। অনেক মজা করেছি। তবে পহেলা বৈশাখ যেভাবে উদযাপন করতে চেয়েছি, সেভাবে পারিনি। কাছের সবাই অনেক ব্যস্ত ছিল। তাই আসছে ৯ মে আমরা একটা পার্টির আয়োজন করেছি। সেখানে ঢালিউডের অনেকের আসার কথা। হাবিব ভাই আসবেন। মোনলিসা তো থাকবে, আরো অনেকে আসবেন।
প্রশ্ন : মোনালিসা কেমন আছেন?
উত্তর : ও অনেক হ্যাপি আছে। মোনালিসা যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে একটা ভালো জব করছে। এ ছাড়া একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতেও কাজ করছে সে। এখানকার বিমানবন্দরে কাজ করা কিন্তু অনেক কঠিন। মোনালিসা ওই কাজটি করছে, আমি খুব খুশি যে ও কাজটা করার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
প্রশ্ন : আসছে ঈদে আপনার অভিনীত ‘পুনশ্চঃ ভালোবাসা’ একটি নাটক এবং ‘অতঃপর নদী’ টেলিফিল্মটি প্রচার হবে। বহুদিন পর নাটকে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
উত্তর : অনুভূতি ভালো। নয় বছর পর ক্যামেরার সামনে নাটকে অভিনয় করেছি। এত বছর পর অভিনয় করতে এসে অনেক কিছু ভুলে গিয়েছিলাম। আমার দুটো নাটকের কো-আর্টিস্ট ছিল সজল। ও অনেক সাহায্য করেছে। সজল আমার অনেক ভালো বন্ধুও। নাটক দুটো রোমান্টিক। আশা করছি দর্শকরা বহুদিন পর নাটকে আমাকে দেখে স্বাগত জানাবে।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের নাটক দেখা হয় কি?
উত্তর : আমি সময় পেলে বাংলাদেশি চ্যানেল দেখি। আর নাটক তো দেখিই। তবে ইদানীং নাটক কম দেখা হয়। কারণ একটা নাটকের মাঝে অনেক বিজ্ঞাপন দেখায়। আমিও বিজ্ঞাপন করেছি। মডেল হিসেবে আমার স্বীকৃতি আছে। একজন দর্শকের জায়গা থেকে বলব, এত বিজ্ঞাপন না দেখানো ভালো।
প্রশ্ন : এত জনপ্রিয়তা রেখে কেন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছিলেন? কখনো একেবারে দেশে ফিরবেন কি?
উত্তর : সত্যি বলতে দেশটাকে অনেক মিস করি। ছোটবেলা থেকে আমি একটু পরিবারঘেঁষা ধরনের মেয়ে। পরিবার ছাড়া কিচ্ছু বুঝি না। তাই মিডিয়াকে কম প্রাধান্য দিয়েছি। আমার ছেলে ঈশা এখানে পিয়ানো শিখছে। ওকে প্রচুর সময় দিই। এ ছাড়া আমার পত্রিকার কাজ তো রয়েছে। দেশে ফেরার আপাতত কোনো ইচ্ছে নেই।
প্রশ্ন : আপনার চলচ্চিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছে আছে কি?
উত্তর : না, চলচ্চিত্রে অভিনয় করব না। তবে কখনো সুযোগ হলে চলচ্চিত্র প্রযোজনার পাশাপাশি নির্মাণ করতে চাই। বলতে পারেন এটা আমার বহুদিনের স্বপ্ন।