এবার ওটিটিতে ‘শুনতে কি পাও!’
ভদ্রা নদীর পাড়ে, সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে ছোট্ট একটি গ্রাম... নাম তার ‘সুতারখালি’। জলে জঙ্গলে লড়াই করে চার পুরুষের আবাদে প্রায় ১০০ পরিবারের বাস এই গ্রামে। এখানেই ঘর বেঁধেছিলো রাখী আর সৌমেন, জন্ম হয়েছিলো তাদের ভালোবাসার সন্তান রাহুলের। ২০০৯ সালের ২৫ মে, রাহুলের বয়স যখন মাত্র চার ‘আইলা’ নামের এক প্রলয়ঙ্করী জলোচ্ছ্বাস ভাসিয়ে নিয়ে যায় বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল। আর সেই দিন থেকে শুরু হয় রাখী, সৌমেন ও রাহুলের এক অন্য জীবন।
দিন যায়, ঋতু বদলায়, সেই সাথে সম্পর্কও বদলায়। তারপরও বৃষ্টি শেষে কোদাল হাতে বেরিয়ে আসে ওরা, জীবনেরই ডাকে, জীবনকে ভালোবেসে। রাখী, সৌমেন ও রাহুলের জীবনের এই ঘটনার বিস্তারিত দেখা যায় কামার আহমাদ সাইমন পরিচালিত ‘শুনতে কি পাও!’ সিনেমায়।
ছবিটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছিল ২০১২ সালে জার্মানির লাইপশিসে উদ্বোধনী রাতের ছবি হিসেবে। ২০১৪ সালে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেয়া হয়। মাঝের লম্বা সময়টুকু বিশ্বের অনেক ফেস্টিভ্যাল ঘুরেছে ছবিটি। সিনেমা দ্যু রিল প্যারিসে সেরা ছবির পুরষ্কার গ্রাঁপি এবং মুম্বাইয়ে মিফে গোল্ডেন কোঞ্চ এর পাশাপাশি পেয়েছে আরও অনেক পুরষ্কার। ২০১৭ সালে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে অ্যামাজন, গুগল প্লে ও আইটিউনস-এর মতো আন্তর্জাতিক স্ট্রিমিং সাইটে।
৯০ মিনিটের এই সিনেমাটি বিশ্বের নানা উৎসব ও অন্তর্জাল ঘুরে ৩ নভেম্বর থেকে চলছে বাংলাদেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে।
চরকিতে মুক্তি প্রসঙ্গে পরিচালক কামার আহমাদ সাইমন তার এক্সপেরিয়েন্স ও এক্সপেকটেশন জানান। বলেন, ‘ছবির ফেস্টিভ্যাল লাইফটা অনেকটা প্রেম-পর্বের মতো। আর ওটিটিতে ছবি রিলিজ দেয়াটা অনেকটা পাবলিক লাইফ, বলতে পারেন ছবির সংসার জীবন। ওইখানেই ছবির আসল পরিচয় পাওয়া যাবে। এখন দেখার অপেক্ষা দর্শক কীভাবে নেয়।’
এতে অভিনয় করেছেন রাখী বৈদ্য, সৌমেন রায়, রাহুল রায়, দেবব্রত মণ্ডল, নিশীথ রঞ্জন মিস্ত্রী, নিরাপদ মণ্ডল, বিভূতিভূষণ মণ্ডল, মাহমুদ গাজী, মান্নান গাইন, দীপক মণ্ডল, গোবিন্দ মণ্ডল, চিরঞ্জিত মণ্ডল, শ্যামলী রপ্তান, নূপুর মণ্ডল, সুভেন ঘরামী, বিনয় বৈদ্য প্রমুখ।
সারা আফরীনের প্রযোজনায় ‘শুনতে কি পাও!’-এর সিনেমাটোগ্রাফির কাজটা করেছিলেন পরিচালক নিজেই। সাউন্ড ডিজাইনে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সম্পাদনা ও কালার গ্রেডিং করেছেন সৈকত শেখরেশ্বর রায়।