কেন সায়রা বানুর পায়ের কাছে বসলেন আমির?
নতুন বছরের শুরুতে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সায়রা বানুকে সঙ্গ দিয়েছেন বলিউডির জনপ্রিয় অভিনেতা আমির খান। আমিরের সঙ্গেই নতুন বছরকে বরণ করে নিলেন সায়রা বানুও। ছিলেন আমিরের মা জিনাত হুসেন এবং তার প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাও। এ ঘটনার ভাইরাল হওয়ার পর আমিরের ভক্তদের একটাই প্রশ্ন, কে এই সায়েরা বানু? কেনই বা আমির খান সায়েরা বানুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পায়ের কাছে বসে গল্প করলেন?
ভারতীয় বর্ষীয়ান অভিনেতা দিলীপ কুমারের সহধর্মিণী হচ্ছেন সায়েরা বানু। তিনি নিজেও ছিলেন বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী। দিলীপ কুমারকে ঘিরেই ছিল তাঁর জীবন।
নতুন বছরে বাড়িতে আসা অতিথিদের একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে আবেগতাড়িত হয়ে সায়রা বানু লিখেছেন বেশকিছু কথা। সায়রা বানু লিখেছেন, আমির খান কঠিন সময়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন।
কিংবদন্তি সায়রা বানুর শেয়ার করা ছবিতে আমির খানকে সোফায় না বসে তাঁর পায়ের কাছে মাটিতে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। আমিরের ঠিক পিছনে সোফায় বসে রয়েছেন অভিনেতার প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাও। সায়রা বানুর পাশে বসে রয়েছেন আমিরের মা জিনাত হুসেন। ছবিতে আমিরের বোন নিখাত খানকেও সোফায় বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। এসময় আরও এক বর্ষীয়ান মহিলাকেও দেখা গেছে ছবিতে। একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়াও করেছেন তারা।
আবেগ তাড়িত সায়রা বানু লিখেছেন, ‘আমির কিছু কঠিন সময়ে আমার পাশে ছিলেন। আমার মনে আছে, যখন দিলীপ সাহেবের আত্মজীবনী, ‘দ্য সাবস্ট্যান্স অ্যান্ড দ্য শ্যাডো’ বের হবে, তখন আমির সবরকম উপায়ে এগিয়ে এসেছিলেন, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির চাকচিক্য এবং গ্ল্যামারের বাইরে গিয়ে তিনি কী ধরনের ব্যক্তি এটা আপনাকে প্রকৃত অর্থেই উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে।’
নতুন বছরের শুরুটা আমির, কিরণদের সঙ্গে কাটানো প্রসঙ্গে সায়রা বানু লিখেছেন, ‘আমির, কিরণ এবং জিনাতকে বাড়িতে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত ছিলাম। জিনাত আমিরের মা, একেবারেই করুণাময়ী ও ব্যতিক্রমী একজন মহিলা। ওর আমাদের বাড়িতে আসার বিষয়টা চমৎকার ছিল। ওদের সঙ্গ, আন্তরিক কথোপকথন এবং দিলীপ সাহেবের সঙ্গে স্মৃতির গলিতে হাঁটার মাধ্যমে নতুন বছরটা আনন্দের সঙ্গেই শুরু হয়েছে।’
সায়রা বানু আরও লিখেছেন, ‘একসঙ্গে ভাগ করে নেওয়া এই হাসি এবং মুহূর্তগুলো সত্যিই দুর্দান্ত ৷ সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি, ভাগ করে নেওয়া হাসি এবং কিছু বন্ধন অপরিবর্তিত থাকবে, তা ক্যালেন্ডার যতই ঘুরে দাঁড়াক না কেন।’