আশা করব বাংলাদেশ শান্ত হবে: স্বস্তিকা
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে সারাদেশে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উত্তাল। এক দফা এক দাবিতে রাজপথের আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে অসংখ্য শিক্ষার্থী আহত এবং এ পর্যন্ত ছয়জন নিহত হয়েছেন।
এসব ঘটনায় হতবিহ্বল হয়ে পড়ছেন দেশ-বিদেশের সর্বস্তরের মানুষ। ঠিক তেমনি চলমান এই ইস্যুতে বেশ সরব ওপার বাংলার দেশের শোবিজ অঙ্গন। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে মুখ খুলেছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জী।
নিজের ফেসবুক একাউন্টে এক আবেগঘন পোস্টে ভারতীয় এ নায়িকা লিখেছেন, প্রায় এক মাস হলো আমি নিজের দেশে নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খবরের চ্যানেলে তৃতীয় বিশ্বের কোনো খবরই তেমন একটা চলেনা। আর আমি খুব একটা ফোনের পোকা নই তাই এত খারাপ একটা খবর কানে আসতে দেরি হলো।
বাংলাদেশের স্মৃতি নিয়ে স্বস্তিকা লিখেন, ‘এই তো কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ গেলাম, খুব ইচ্ছে ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার। চারুকলা যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল, জীবনের একটা স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে। প্রতিবার আসি, ব্যস্ততায় যাওয়া হয়না, মা‘ও খুব যেতে চাইতেন বাংলাদেশ, নিয়ে যাওয়া হয়নি। কিন্তু আজ একটা ভিডিও দেখলাম, গুলির ধোঁয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা আক্রান্ত। ছাত্র বয়স গেছে সেই কবে, তবে জাহাঙ্গীরনগর আর আমার যাদবপুর খুব কাছাকাছি। কাঠ গোলাপের গাছগুলোও কেমন এক রকম। এক রকম আকাশের মেঘগুলোও। কেবল আজ ওখানে বারুদের গন্ধ।’
‘ময়দান ভারী হয়ে নামে কুয়াশায়
দিগন্তের দিকে মিলিয়ে যায় রুটমার্চ
তার মাঝখানে পথে পড়ে আছে ও কি কৃষ্ণচূড়া ?
নিচু হয়ে বসে হাতে তুলে নিই
তোমার ছিন্ন শির, তিমির।’
এমন এক আপ্যায়নপ্রিয় জাতি দেখিনি, খাবারের নিমন্ত্রণ যেন শেষ হতেই চায় না, অমন সুন্দর করে সারা রাস্তা জুড়ে ভাষার আল্পনা আর কোথায় দেখবো? নয়নজুড়ানো দেওয়াল লেখা? এ বোধহয় মুক্তিযুদ্ধের শপথ নেওয়া একটা জাতির পক্ষেই সম্ভব।
আজ অস্থির লাগছে। আমিও তো সন্তানের জননী। আশা করবো বাংলাদেশ শান্ত হবে। অনেকটা দূরে আছি, এই প্রার্থনাটুকুই করতে পারি। অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেই আমাদের আলো, আলো হোক, ভাল হোক সকলের।