কেন মানুষ ফেস লিফটিং করায়?
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা একেক জনের কাছে একেক রকম। তাই অনেকে ত্বকের বিভিন্ন অংশের পরিবর্তন চায়। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে ফেস লিফটিং বিষয়ে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে ফেস লিফটিং বিষয়ে কথা বলেছেন ভেল্লা লেজার কেয়ার ও ভেল্লা এসথেটিকসের কনসালটেন্ট ডা. দিলরুবা সুলতানা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
ফেস লিফটিং একটি অ্যান্টি-এজিং ট্রিটমেন্ট বা তারুণ্য ধরে রাখার জন্য আপনারা এটি করে থাকেন। কেন একজন মানুষ তাঁর ফেসটাকে লিফটিং করাতে চান, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. দিলরুবা সুলতানা বলেন, যখন আমাদের বয়স বাড়তে থাকে, তখন আমাদের ফেসের স্ট্রাকচারে কিছু চেঞ্জেস আসে। যেমন চামড়াটা ঝুলে যেতে থাকে, কিছু রিঙ্কেলস আসতে থাকে; সেই সাথে আমাদের ফেসের নিচে যে সুপারফিসিয়াল ফ্যাট থাকে, তার পজিশনগুলো... এক হচ্ছে তার ভলিউম কমতে থাকে, পরিমাণ কমতে থাকে; আরেকটা হচ্ছে সেটা নিচের দিকে নামতে থাকে গ্র্যাভিটির কারণে। তো একটা সারটেইন এজের পরে মানুষের সেটা দেখতে ভালো লাগে না—আগের মতো আমার সেই চেহারা নেই বা ফোল্ড চলে আসছে, চামড়া ঝুলে যাচ্ছে; তো এটা কারেকশনের জন্য গোল্ড স্যান্ডার্ড যেটা, সেটা হলো সার্জারি করে চেহারা টানটান করা। বেশির ভাগ মানুষ যেহেতু ভয় পায়, আমরা নন-সার্জিক্যাল ফেস লিফটিং করছি।
ডা. দিলরুবা সুলতানা বলেন, ফেস লিফটিং দুই উপায়ে করা যায়। এক হচ্ছে, লিকুইড ফেস লিফটিং। যেটা বিভিন্ন ধরনের বোটক্স, ফিলার দিয়ে করা হয়। বর্তমানে খুব পপুলার হলো থ্রেড লিফটিং। থ্রেড লিফটিং করলে যেটা সুবিধা, একটা লং টার্ম বেনিফিট দেবে। এক থেকে দেড় বছর থাকে। সেই সাথে আপনি অনেক কিছু চুজ করতে পারবেন। মিনিমাল চেঞ্জেস থেকে মডারেট চেঞ্জেস পর্যন্ত আমরা থ্রেড দিয়ে করে ফেলতে পারছি। তো এটা হচ্ছে বেস্ট পার্ট।
ডা. দিলরুবা সুলতানা যুক্ত করেন, অ্যান্টি-এজিংয়ের জন্য আমরা থ্রেড লিফটিং করছি কি না। শুধু অ্যান্টি-এজিংয়ের জন্য নয়, এখন অনেক তরুণ যারা আছে, স্পেশালি মিডিয়াতে কাজ করছে, ওদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে ফেসটা শার্প লাগা খুব জরুরি। অনেকের বাল্কি ফেস থাকে বা অনেকের রাউন্ড ফেস থাকে, তাঁরা যদি চান আমার ফেসটা একটু শার্প হবে বা ভি শেপ হবে, তো সে ক্ষেত্রেও আমরা থ্রেড লিফটিং করছি।
ফেস লিফটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।