ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার করা কি ঠিক?
নারী-পুরুষ নির্বিশেষে রূপচর্চা আমাদের জীবনের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। অনেকে ত্বকের রং ফর্সা করতে চান। সেজন্য নানান ধরনের প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহার করেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার সম্পর্কে বলেছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মেডিকেল অনকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন খান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. মুনা তাহসিন।
অনেকে স্কিন কেয়ারের জন্য এত কিছু করে ফেলেন, যেটি তাঁর হিতে বিপরীত হয়ে যায় এবং স্কিনে নানান ধরনের সমস্যা হয়। বিশাল জনসংখ্যা এখনও ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার করছেন। আমরা বিভিন্ন ভাবে তাঁদের সচেতন করে যাচ্ছি। এমন অনেক ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম রয়েছে, যেগুলোতে মার্কারি আছে, স্টেরয়েড রয়েছে, তো এটি ব্যবহার করা স্কিনের জন্য ঠিক কি না; সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন খান বলেন, বউ হতে হবে ফর্সা—আমাদের দেশে কিন্তু সবাই স্কিনটাকে আরও হোয়াইট করতে চায়। আসলে স্কিন হোয়াইটের চেয়ে ব্রণ থাকবে না, গ্লো আসবে, দেখেই যাতে মনে হয় সে পানি খায় ঠিকঠাক; স্কিনের প্রত্যেকটা কালারের একটা গর্জিয়াসনেস আছে। আপনি দেখবেন, অনেক দেশের নায়িকা, মডেলস ব্ল্যাক, ওদের কালার নিয়ে কোনও প্রবলেম নেই। আমাদের দেশে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিজে নিতে চায় না। কিন্তু দেখা গেল নতুন বিয়ে হয়েছে, কয়েক দিন পর ব্রণ হয়েছে। খুবই ভালো কালার, কিন্তু আরও ফর্সা হতে চাচ্ছে। ব্রাইটেনিং ক্রিম ইউস করা শুরু করছে, যার মধ্যে মার্কারি, স্টেরয়েড, প্যারাভেন রয়েছে, যা খুব খারাপ। এগুলোকে নীরব ঘাতক বলা হয়।
ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন খান বলেন, স্টেরয়েড যদি কোনও ক্রিমে থাকে, এটা মাখলে ডেফিনেটলি তিন-চার দিনের মধ্যে আপনার স্কিন পাতলা হয়ে যাবে। চামড়া যখন চিকন হতে থাকে, ব্রাইটার লাগে দেখতে। এটা তো অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি, যদি কয়েকটা ব্রণ থাকেও, চলে যাবে। কিন্তু এটা ঠিক হলো না। ওই অংশটা ভেতরে থেকে গেল। এই যে চামড়া পাতলা হয়ে যাচ্ছে, যত বেশি ইউস করবেন তত পাতলা হবে। এত পাতলা হয়, স্কিনের ভেতরের রগগুলো দেখা যায়।
ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার করা কি ঠিক, এ সম্পর্কে জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।