দ্রুত নিজেকে শান্ত করার ৪ কৌশল
ঘণ্টাখানেকের ট্রাফিক জ্যাম ঠেলে অফিসে পৌঁছানো, অফিসে গিয়ে বসের ঝাড়ি খাওয়া, গাধার মতো খাটুনি খেটে দিন শেষে ঘরে ফেরা, পরের দিন কাজের জন্য আবার প্রস্তুতি নেওয়া। শুধু কি তাই?
ছোট ছোট কত বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত সহকর্মী, সঙ্গী, এমনকি বাড়ির গৃহকর্মীটির সঙ্গেও দ্বন্দ্ব তৈরি হয় আমাদের। আর এসব চাপের মধ্যে মন হয়ে পড়ে উদ্বিগ্ন, অস্থির। তবে সমস্যা তো জীবনেরই অংশ। আর এ থেকে বেরিয়ে আসার কৌশলগুলোও আপনাকেই জানতে হবে। তাই আপনাদের জন্য আজ রইল দ্রুত নিজেকে শান্ত করার কিছু পরামর্শ। আসুন জানি—
১. জায়গাটি থেকে সরে যান
কী কারণ বা কোন অবস্থা হলে আপনি উত্তেজিত, উদ্বিগ্ন বা রাগান্বিত হয়ে পড়েন, সেটি বুঝুন। পরের বার সে ধরনের অবস্থা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন বা এ ধরনের অবস্থা তৈরি হলে জায়গাটি থেকে সরে যান। সম্ভব হলে একটু হেঁটে আসুন।
২. চোখ বন্ধ করুন
অস্থির লাগলে বা উত্তেজিত হয়ে পড়লে চোখ বন্ধ করুন। এতে ভারসাম্য ধরে রাখা সহজ হবে। তবে এ পদ্ধতি ব্যস্ত পথ দিয়ে হাঁটার সময় বা গাড়ি চালানোর সময় কাজে লাগাবেন না। এতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
৩. গভীরভাবে শ্বাস নিন
গভীরভাবে শ্বাস নেওয়া মানসিক সুস্থতার জন্য জরুরি। কারণ, এতে মস্তিষ্ক ও শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে অক্সিজেন ভালোভাবে পৌঁছায়। আর বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন যে জরুরি, তা তো কারো অজানা নয়। এ ছাড়া গভীরভাবে শ্বাস নিলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়।
- মনে মনে এক থেকে চার গণনা করতে করতে ধীরে ধীরে দম নিন।
- এবার কিছুক্ষণ দম ধরে রাখুন।
- এরপর ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে দম ছাড়ুন।
- এরপর দুবার স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিন।
- আবার গভীরভাবে দম নেওয়ার পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন।
৪. গান শুনুন
সংগীত মনকে শান্ত করে। সুরের শক্তি মনের ক্ষতগুলোকে ধীরে ধীরে সারায়। তাই খুব বিরক্ত বা উদ্বিগ্ন লাগলে মন শান্ত হবে এমন সংগীত শুনুন। আর এখন তো ইউটিউবে মনকে শিথিল করার জন্য অনেক সংগীত রয়েছে। বেছে নিন এর থেকে পছন্দমতো কোনো একটি।
৫. বাইরে যান
এটিও মনকে শান্ত করতে কাজ করে। খুব বেশি অস্থির থাকার দিনগুলোতে চেষ্টা করুন একটু বাইরে থেকে বেরিয়ে আসতে। সেটা হতে পারে কোনো পার্কে বা ঝিলে। মানুন আর নাই মানুন, প্রকৃতির কিন্তু এক বিশাল শক্তি রয়েছে মনকে শান্ত করে দেওয়ার।