রোজা রাখলে বডি ফিটনেস বাড়ে
মুসলিম জাহানের সবচেয়ে পবিত্র মাস রমজান। সংযমের মাস রমজান। মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এটি সাধনার মাস। রমজান থেকে নিতে হয় আত্মশুদ্ধির শিক্ষা।
এনটিভির নিয়মিত এক স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠানে রোজা রাখার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছেন ডা. শামীম আহমেদ।
রমজানে রোজা পালনের মাধ্যমে আমরা কীভাবে আমাদের শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারি বা আরও বেশি সুস্থ করে তুলতে পারি? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. শামীম আহমেদ বলেন, আমি যতটুকু জানি, যাঁরা রোজা রাখেন, তাঁরা কিন্তু পুরো মাসটাই সুন্দরভাবে রোজা রাখতে পারেন এবং তাঁরা সুস্থ ফিল করেন। একটা প্রশান্তি থাকে। রোজা-নামাজের মাধ্যমে... এ সময় একটা ভালো ফিলিং হয়। না খেয়ে থাকলে যে আপনার একটি ফিলিং হবে, সেটা আপনি... এই যে গরিব মানুষ যারা আছে, তাদের আপনি বুঝবেন। আরেকটা জিনিস, রোজা রাখার পরে যেটা হচ্ছে, শেষের দিকে আপনার মনটাও একটু নরম হয়ে যায়, কেমন একটা চেঞ্জ হয়। এই চেঞ্জ শুধু মানসিক চেঞ্জ নয়, শারীরিক চেঞ্জও হয়। এটা সবচেয়ে বড় পাওয়া। রোজা-নামাজ পড়লে আল্লাহর প্রতি... আপনার যে একটা প্রশান্তি পাওয়া যায়, সে দিকটাও একটা বড় দিক। এই মাসটায় আপনি প্র্যাকটিস করলেন, ১১ মাস যেন আপনি এভাবে চলতে পারেন... যত খারাপ কাজ... ব্যবসায়ীরা অসদুপায় থেকে বিরত থাকতে পারে... সবাই যদি এভাবে চলতে পারে, তাহলে আমাদের সমাজ-দেশ একটা ভালো দিকে যাবে।
সেই দিকে চিন্তা করলে, রোজার সব দিকেই বেনেফিট আছে। যাঁরা একদম অসুস্থ, রোজা রাখতে পারেন না... অনেকে বলেন, পেপটিক আলসারের জন্য রোজা থাকতে পারেন না। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা গেছে, পেপটিক আলসার, গ্যাস্ট্রিক-অ্যাসিডিটি... এটা কিন্তু কোনো চেঞ্জ হয় না, বরং তাঁদের ভালোই হয়। দেখা যায়, আমাদের বডির যে ব্লাড সুগার, সেটা কন্ট্রোল হয়, কোলেস্টেরলও কমে যায়, বডি ফিটনেস বাড়ে।
রমজান মাস বা রোজা কিন্তু আমাদের জন্য একটি সুযোগ, আমরা যদি সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়ম মেনে চলতে পারি, সে ক্ষেত্রে রমজানের মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীরকে আরও বেশি সুস্থ করতে পারি। সঞ্চালকের এমন মন্তব্যে সহমত পোষণ করেন ডা. শামীম আহমেদ।