সিসটিক ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত রোগীদের খাদ্যতালিকা
সিসটিক ফাইব্রোসিস একটি জেনেটিক রোগ। অনেকে সিসটিক ফাইব্রোসিস রোগে আক্রান্ত। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে সিসটিক ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত রোগীদের খাদ্যতালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে অ্যাজমা বা হাঁপানি বিষয়ে কথা বলেছেন জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক, শিশু অ্যাজমা ও অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ ডা. এম এস খালেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
যেহেতু সিসটিক ফাইব্রোসিসের সাথে ডায়রিয়াজনিত বিষয় জড়িত বা ম্যাল অ্যাবজর্বশন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাঁর খাদ্যতালিকা কী ধরনের হওয়া উচিত, যাতে তিনি সঠিকভাবে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারেন। সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. এম এস খালেদ বলেন, সিসটিক ফাইব্রোসিসে কয়েকটা জিনিস হয়, সেটা হলো যে ভিটামিন এ, ডি, ই কে; ফ্যাট সলিউবল ভিটামিনগুলো অ্যাবজর্ব হয় না। আমাদের চিন্তা করতে হবে ফ্যাট সলিউবল ভিটামিনগুলো যে যে খাবারে বেশি আছে, সেগুলো দিতে হবে। তাঁকে ভিটামিনগুলো সাপ্লিমেন্ট করতে হবে। ওষুধ আকারে দিতে হবে। কারণ, সিসটিক ফাইব্রোসিসে দেখবেন বাচ্চারা প্রচুর খায়। আমাদের দেশের মায়েরা বলে, বাচ্চা প্রচুর খাচ্ছে, কিন্তু ওজন হচ্ছে না। বাচ্চা প্রচুর খাচ্ছে, কিন্তু তার ওজন বাড়ে না।
ডা. এম এস খালেদ বলেন, সিসটিক ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত রোগীকে প্রতিদিন... যতটুকু এনার্জি দরকার, তার চেয়ে বেশি খাবার দিতে হয়। এ ধরনের কোনও নিয়ম নেই যে এ খাবার দিতে হবে বা ওই খাবার দিতে হবে। পুষ্টিকর খাদ্যটা দিতে হবে তাকে। মাছ-মাংস প্রচুর পরিমাণে দিতে হবে এবং তাকে বাদাম খাওয়াতে হবে। কিন্তু সবচেয়ে বড় বিষয় হলো যে তাকে ভিটামিন সাপ্লিমেন্টগুলো দিতে হবে।
সিসটিক ফাইব্রোসিস আক্রান্ত রোগীদের খাদ্য তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।