গাউটের রোগীরা কী খাবেন, খাবেন না
সাধারণত রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে গাউট বা বাতের সমস্যা দেখা দেয়। রক্তের এই ইউরিক এসিড বেড়ে যায় পিউরিন নামক উপাদান ভাঙার কারণে। রক্তে ইউরিক এসিড হওয়ার ক্ষেত্রে পিউরিনটি মূলত প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করে।
আমরা যদি হাই পিউরি ফুড গ্রহণ করি, সে ক্ষেত্রে রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি বাড়ে। আমরা জানি, নারী বা পুরুষ সবার ক্ষেত্রেই ইউরিক এসিডের স্বাভাবিক একটি মাত্রা থাকে।
যখন রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বাড়ে, তখন দেখা যায়, বাত বা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা হয়। আর এই বাত ইউরিক এসিডের জন্য মূল একটি কারণ।
ইউরিক এসিডের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বাড়ে বিভিন্ন জয়েন্টে। তাই আমাদের খাদ্যব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত, যেন রক্তে কোনোভাবেই ইউরিক এসিড না বাড়ে।
এ ক্ষেত্রে আমরা একটি চার্ট ফলো করতে পারি। যেমন : হাই পিউরিফুড, মিডিয়াম পিউরিফুড, লো পিউরিফুড। পিউরিনের সবচেয়ে বড় একটি উৎস হলো লাল মাংস, সামুদ্রিক খাবার, লেনটিলস, অ্যালকোহল ইত্যাদি। আমরা কিছু খাদ্যের মাধ্যমে বাতের এই সমস্যাকে অনেকাংশে কমিয়ে দিতে পারি। যেমন : ওমেগা-৩ জাতীয় খাবার, মাছ, লেবু, উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার, লো ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবার, স্ট্রবেরি, চেরি। চেরিতে রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান। এটি আমাদের ইউরিক এসিড কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
বাত বা গাউট কমানোর জন্য আমাদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আর পানি প্রচুর পরিমাণে পান করলে ইউরিক এসিড কমার পাশাপাশি শরীরে যে বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে, সেগুলো শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। তাই বাত বা গাউটের মতো একটি ব্যথাদায়ক রোগকে কমানোর জন্য অবশ্যই লো পিউরিন ডায়েট মেনে চলতে হবে।
লেখক : পুষ্টিবিদ, স্কয়ার হাসপাতাল
অনুলিখন : শাশ্বতী মাথিন