রোজায় ভাজাপোড়া খাবার খাচ্ছেন?
চলছে পবিত্র রমজান মাস। রোজায় সুস্থতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ জেনেও অনেকেই ভাজাপোড়া খাবার খেয়ে থাকেন। পেঁয়াজু, চপ, পাকোড়া, বেগুনি ছাড়াও অনেক ভাজাপোড়া খাবার দৈনিক ইফতার মেন্যুতে থাকতে দেখা যায়। ভাজাপোড়া খাবার নানাভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
ভাজা খাবারে থাকে প্রচুর ক্যালরি
ডুবো তেলে ভাজা হয় বলে যেকোনো ভাজা খাবার থেকে প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায়। এক মিলিলিটার তেল থেকে নয় কিলোক্যালরি পাওয়া যায়। ভাজা খাবারে প্রচুর তেল যুক্ত হয়ে ক্যালরি বাড়িয়ে দেয়। ইফতারের খাবার ছাড়াও সেহরি ও রাতের খাবারের মেন্যুতে তেলের ব্যবহার থাকে। ইফতারের ভাজা খাবারের অতিরিক্ত তেল থেকে প্রাপ্ত ক্যালরি ওজন বাড়ায়। এ ছাড়া রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা ও উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা বাড়িয়ে শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি করে।
পুষ্টি উপাদানের পরিবর্তন করে
তেলে ভাজার কারণে প্রাকৃতিক খাবারের পুষ্টি উপাদানের অনেক পরিবর্তন হয়। কারণ, তেলে অনেকক্ষণ তাপ দিয়ে ভাজার কারণে ভিটামিন, মিনারেল ও প্রোটিনের অনেক পরিবর্তন ঘটে।
শারীরিক অসুবিধা
অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো হজমে অসুবিধা করে। এ ছাড়া ভাজাপোড়া খাবার থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য, বুক জ্বালাপোড়া, পেটে অস্বস্তি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।
ইফতার ও সেহরিতে ভাজাপোড়া খাবার কম পরিমাণে খেতে হবে। ভাজাপোড়া খাবারের পরিবর্তে গ্রিল, সিদ্ধ, ভাপে রান্না করা খাবার ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। এতে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবারের একটি নমুনা :
আধা কাপ দই
এক কাপ চিড়া বা মুড়ি
কাটা ফল এক কাপ
একটি সেদ্ধ ডিম
লেবুর শরবত
ডাবের পানি এক গ্লাস
একটি কাপের চার ভাগের এক ভাগ ছোলা সেদ্ধ, সঙ্গে শসা, টমেটো, ধনেপাতা।
লেখক : প্রধান পুষ্টিবিদ, অ্যাপোলো হাসপাতাল।