রোজায় হৃদরোগীদের খাবার যেমন হবে
যেসব হৃদরোগী চিকিৎসকের পরামর্শে রোজা রাখছেন, তাঁদের অবশ্যই খাবারের ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলতে হবে। হৃদরোগীদের জন্য সোডিয়াম ও চর্বি—এ দুটি পুষ্টি উপাদান অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। লবণ ও লবণাক্ত খাবারে প্রচুর সোডিয়াম থাকে এবং ডুবো তেলে ভাজা খাবারে থাকে অনেক চর্বি। অথচ চিরাচরিত নিয়ম অনুসারে এ রকম খাবারই ইফতারের মেন্যুতে বেশি দেখা যায়। তাই যাঁরা হৃদরোগে ভুগছেন, এমনকি যাঁদের হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে, তাঁদের অবশ্যই ইফতার ও সেহরিতে সঠিক খাবার খেতে হবে।
- খাবারে যেন অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- বেশি লবণ, সোডা, বেকিং পাউডার, কমার্শিয়াল সস, সয়াসস, ফিশ সস ছাড়াও অন্যান্য সসের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ভাজাপোড়া খাবারের পরিবর্তে স্যাঁকা, গ্রিল, বেকিং, স্যালোফ্রাই করে খাবার তৈরি করতে হবে।
- ইফতার, সেহরি ও রাতের খাবারে সবজির তৈরি মেন্যু রাখতে হবে, যাতে খাদ্য আঁশ পাওয়া যায়। হার্টের সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্য আঁশ খুব জরুরি।
- রেডমিট, অরগান মিট ইত্যাদির তৈরি খাবার রোজায় এড়িয়ে চলতে হবে।
- মুরগি, ডিম, মাছ, ডাল, দুধজাতীয় প্রোটিন খাবারের তালিকায় হিসাব করে খেতে হবে।
- ইফতারে ফল, সালাদ, টক দই, ছানা, চিড়া, মুড়ি, ডিমের সাদা অংশ, খেজুর, চিনি ছাড়া শরবত, নুডলস ইত্যাদি খাবার থাকতে পারে।
- রাতের খাবার হিসেবে রুটি, চর্বিছাড়া দুধ, সবজি, সবজির স্যুপ, ওটস, সিরিয়াল ইত্যাদি থেকে খাদ্য নির্বাচন করা যেতে পারে।
- ভোররাতে ভাত, রুটি, সবজি, মাছ, মুরগি, ফ্যাট ছাড়া দুধ ইত্যাদি খাবার থাকতে পারে।
এক মাস সিয়াম সাধনার পাশাপাশি সতর্কতার সঙ্গে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য গ্রহণ করলে স্বাস্থ্যকে আরো ভালো করে তোলা সম্ভব। এই রোজার মাসই সঠিক নিয়ম মেনে খাওয়ার উত্তম সময়। হৃদরোগীরা একটু বুঝে খেলে অনেক ভালো থাকতে পারবেন।
লেখক : প্রধান পুষ্টিবিদ, অ্যাপোলো হাসপাতাল।