ঈদের দিনের খাবার : সকাল দুপুর রাত
ঈদে নতুন জামা ও জুতা ছাড়াও খাবারের নানা আয়োজন চলে ঘরে ঘরে। ভিন্ন স্বাদ ও ভিন্ন ভিন্ন রেসিপি দিয়ে তৈরি হয় নানা রকম খাবার। ৩০ দিন রোজা রাখার পর ঈদের এই নানা স্বাদের খাবার রসনা তৃপ্তি মেটায়। তবে অনেকেই অতিরিক্ত ভূরিভোজ করেন। এই অতিরিক্ত খাবার খাওয়া নানা সমস্যা ডেকে নিয়ে আসে। তাই সুস্থ থাকার জন্য সবারই উচিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মধ্য দিয়ে ঈদ উদযাপন করা।
এক মাস সিয়াম সাধনার কারণে দৈনিক রুটিনের পরিবর্তন হয়। তবে ঈদের সময় থেকে আগের স্বাভাবিক রুটিন শুরু হয়ে যায়। তাই অনেক সময় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। যেমন : বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিডিটি বা গ্যাস, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি। তাই ঈদের মেন্যুতে সবারই উচিত পুষ্টি ও স্বাদের সমন্বয় করা।
সকালের খাবার
ঈদের দিন সকালে হালকা খাবার খান। পাতলা তেল ছাড়া পরোটা বা রুটির সঙ্গে একটু ভিন্ন স্বাদের সবজি, যেমন—সবজির কোরমা বা দম বা নিরামিষ খেতে পারেন। ঈদে সারা দিন অনেক রকম প্রোটিনজাতীয় খাবার খাওয়া হয়, তাই কেউ চাইলে সকালের খাবারে প্রোটিন এড়িয়ে যেতে পারেন। সকালের নাশতায় একটা ফল থাকলে ভালো হয়। কেননা, সারা দিন বেড়ানোর পর হয়তো দৈনিক ফলের চাহিদা নাও পূরণ হতে পারে। তাই সকালে ফল খেয়ে নেওয়া ভালো।
দুপুরের খাবার
ঈদের দিন দুপুরে পোলাও বা হালকা মসলার খিচুড়ি থাকতে পারে মেন্যুতে। সেইসঙ্গে মাছের কোনো রেসিপি ও সবজি থাকলে ভালো। টক দই, সবজির সালাদ আপনাকে হজমে সাহায্য করবে। তাই সালাদ রাখবেন ঈদের দুপুরের মেন্যুতে।
রাতের খাবার
কেউ যদি মনে করেন, রাতে ভালো খাবার খাবেন, সে ক্ষেত্রে মাছ বা মাংসের ভিন্নধর্মী রান্নার সঙ্গে ভাত খেলেও মেন্যুটা অনেক স্বাস্থ্যকর হবে।
ঈদের রাতে দাওয়াতে গেলেও ভালো খাবার, আবার বাড়িতে থাকলেও ভালো খাবার। তাই রাতের খাবারের মেন্যু একটু ভিন্নভাবে করলে ভালো। যেমন—মাংসের কোনো রেসিপি ঈদের রাতের মেন্যুতে থাকতে পারে। সেইসঙ্গে পোলাও বা অল্প তেলের বিরিয়ানি থাকতে পারে। এ ছাড়া কাবাব, গ্রিল, বেক বা স্যালোফ্রাই করলে স্বাদের পাশাপাশি খাবার স্বাস্থ্যকর হবে।
মিষ্টান্ন
ঈদের মিষ্টান্ন খাবার সবার কাছেই খুব প্রিয়। ঘরে তৈরি মিষ্টান্ন স্বাদ ও পুষ্টিকর হয়ে থাকে। দুধের মিষ্টান্ন অনেক স্বাস্থ্যকর। তাই ঈদের মিষ্টি দুধের তৈরি হলে সেটি থেকে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস পাওয়া যায়। সেইসঙ্গে প্রচুর প্রোটিনও চলে আসে। তবে চিনির সিরার মিষ্টি এড়িয়ে চলা ভালো। তবে রোগীদের ক্ষেত্রে যেকোনো খাবারই বুঝেশুনে খাওয়া ভালো।
লেখক : পুষ্টিবিদ, অ্যাপোলো হাসপাতাল।